দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কান সম্পর্কে বলার কারণ হলো অনেকেই কানে চুম্বন করেন। যদিও এটি শুনতে বেশ ভালোই লাগে। তবে এই চুম্বনই আপনার ক্ষতিও করতে পারে। যে কারণে কেওবা হারাতে পারেন শ্রবণশক্তিও।

দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে আলোচনাও চলছিল। এবার তারই প্রমাণ দিলেন নিউ ইয়র্কের একজন চিকিৎসক। সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে এই কথাটি জানিয়েছেন ডক্টর স্যামুয়েল।
তিনি জানিয়েছেন যে, কানে চুম্বন করার কারণে শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন এক বয়স্ক মহিলা। তিনি জানিয়েছেন যে, ওই মহিলার মেয়ে তার একটি কানে চুম্বন করেন। জোরে চুম্বন করার কারণে ওই কানের শ্রবণশক্তিও হারিয়েছেন ওই মহিলা।
এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেন?
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে স্যামুয়েল জানিয়েছেন যে, ওই মহিলার কানে চুম্বন করেছিলেন তারই মেয়ে। এর জেরে ওই মহিলা তার বাম কানের শ্রবণশক্তিও হারিয়েছিলেন। চিকিৎসা করিয়েও কোনও ফল হয়নি। সেই কারণে ওই ঘটনার দুই বছর পরও লজ্জিত তার মেয়ে। ভালোবাসার চুম্বনের দাম যে তার মাকে এইভাবে দিতে হবে তা বুঝতেই পারেননি তিনি।
ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রেই নয়, অন্যদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের বিপদও আসতে পারে। ঠাট্টার ছলে হলেও বন্ধুদের সঙ্গে এই রকম কিছু না করার পরামর্শ দিয়েছেন স্যামুয়েল। তার মতে, ঠাট্টার ছলে এই ক্ষতি স্থায়ীও হতে পারে।
কেনো এই সমস্যা?
শুধুমাত্র বয়স্করাই নয়, অনেক সময় শিশুদের কানেও চুম্বন করা হয় ও কানের কাছে মুখ রেখে অনেক সময় গোপন কথা বলা হয়। এর ফলেও সমস্যা হতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা। তাদের মতে, সব ক্ষেত্রেই সমস্যা হবে তা নয়। তবে, এই চুম্বন হঠাৎ করে বা জোরে হয় ও কানের কাছে ফিসফিস করে কিছু বলা হয় তাহলে শ্রবণ শক্তি হারানোর আশঙ্কাও থাকে। কানের কাছে জোরে শব্দ হলেও শ্রবণ সমস্যা দেখা দিতেই পারে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কানে সরাসরি বাতাস ঢুকে যাওয়া কিংবা কানের উপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হলে শ্রবণ সমস্যা দেখা দিতেই পারে। তবে এই ধরনের ঘটনা বিরল বলেও জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এর সঙ্গে আরও কিছু জটিলতাও দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
চিকিৎসকরা মনে করেন, কানে চুম্বন করলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই। তবে এরপর যদি কারও শুনতে অসুবিধা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই ওই ব্যক্তির চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org