দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জার্মানির জনৈকা নারী সম্প্রতি ৬৬ বছর বয়সে স্বাভাবিকভাবে দশম সন্তানের মা হলেন। তিনি কোনো ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) ছাড়াই গর্ভধারণ করেন!

আলেকজান্দ্রা হিল্ডেব্রান্ট নামে ওই নারী ১৯ মার্চ বার্লিনের চারিতে হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে ফিলিপ নামে এক ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শিশুটির ওজন ছিল ৭ পাউন্ড ১৩ আউন্স।
বার্লিনের চেকপয়েন্ট চারলির ওয়াল মিউজিয়ামের মালিক এবং ব্যবস্থাপক হিল্ডেব্রান্ট সত্তরের দশকের শেষের দিকে তার প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তারপর ৫০ বছর বয়সের পর আরও আট সন্তান জন্ম দেন, যাদের সবাই সিজারিয়ানের মাধ্যমেই জন্মগ্রহণ করে।
সংবাদমাধ্যম টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিল্ডেব্রান্ট বলেছেন, ‘একটি বড় পরিবার শুধুমাত্র চমৎকারই নয়, বরং এটি শিশুদের যথাযথভাবে লালন-পালনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তার সন্তানরা হলেন স্ভেতলানা (৪৬), আর্তিওম (৩৬), যমজ এলিজাবেথ এবং ম্যাক্সিমিলিয়ান (১২), আলেকজান্দ্রা (১০), লেওপোল্ড (৮), আন্না (৭), মারিয়া (৪) এবং ক্যাথারিনা (২)।
হিল্ডেব্রান্টের চিকিৎসক প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. উলফগ্যাং হেনরিশ জানিয়েছেন যে, তার রোগীর গর্ভাবস্থা মোটামুটি জটিলতামুক্তই ছিল। তিনি বলেন, ‘তার চমৎকার শারীরিক অবস্থা এবং মানসিক দৃঢ়তার কারণে তিনি গর্ভধারণ ভালোভাবেই সামলেছেন।’
নিজের এই বয়সে এভাবে গর্ভধারণের রহস্য জানতে চাইলে হিল্ডেব্রান্ট জানিয়েছেন, তিনি সব সময় সক্রিয় জীবনযাপন করেন ও কখনই জন্মনিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় গ্রহণ করেননি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুব স্বাস্থ্যকর খাবার খাই, নিয়মিত এক ঘণ্টা সাঁতার কাটি, দুই ঘণ্টা দৌড়াই, ধূমপান কিংবা মদ্যপান করি না ও কখনও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের প্রতি সমাজে এক ধরনের বিরূপ মনোভাবও দেখা যায়। তবে যারা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান, তারা তাদের মত বদলাতে বাধ্য। আমাদের আরও বেশি সন্তান নেওয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা উচিত!’
উল্লেখ্য, কোনো নারীর এতো বেশি বয়সে মা হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে উগান্ডার সাফিনা নামুকওয়া নামে এক নারী ৭০ বছর বয়সে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন, যদিও তিনি আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভধারণ করেন। এরও আগে ২০২০ সালে তিনি একটি মেয়েসন্তানের জন্ম দেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>
করনা সম্পর্কে নতুন করে জরুরী সতর্কতা
আসুন আমরা আবার মাস্ক পরা শুরু করি। কারণ করোনা তথা COVID-Omicron XBB আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ও বিপজ্জনক। এটি সহজে শনাক্তও হয় না, তাই সবার মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি।
১. COVID-Omicron XBB এর নতুন উপসর্গগুলো:
i) কাশি নেই।
ii) জ্বর নেই।
বেশিরভাগ উপসর্গ হলো—
iii) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
iv) মাথাব্যথা।
v) গলাব্যথা।
vi) পিঠে ব্যথা।
vii) নিউমোনিয়া।
viii) ক্ষুধা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া।
২. এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টার চেয়ে ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং মৃত্যুহারও বেশি।
৩. উপসর্গগুলো খুব অল্প সময়েই মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং কখনও কখনও কোনো স্পষ্ট উপসর্গ না দেখিয়েই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে।
৪. তাই আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এই ভ্যারিয়েন্টটি নাসোফ্যারেঞ্জিয়াল (নাকের গভীর অংশ) অঞ্চলে পাওয়া যায় না, বরং সরাসরি ফুসফুসের “উইন্ডো” অংশে আঘাত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
৫. কিছু রোগীর মধ্যে জ্বর বা ব্যথা না থাকলেও এক্স-রে করলে মৃদু নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নাক দিয়ে নেয়া স্যাম্পলে (সোয়াব) পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসছে, যা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট (ফলস নেগেটিভ) এর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এ কারণে এই ভাইরাসকে ‘ধূর্ত’ বলা হচ্ছে।
এর মানে হলো— এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। এই কারণে COVID-Omicron XBB এত বেশি ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
৬. যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গাতেও অন্তত ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, সঠিকভাবে মাস্ক পরুন, এবং নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলুন—even যদি কাশি বা হাঁচি না থাকে।
এই COVID-Omicron XBB “ওয়েভ” প্রথম COVID-19 মহামারির চেয়েও ভয়াবহ।
সতর্কতা, সচেতনতা ও বৈচিত্র্যময় সুরক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।
✅ দয়া করে এই বার্তাটি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
✅ শুধুমাত্র নিজের কাছে রেখে দেবেন না।
✅ যত বেশি সম্ভব লোককে জানিয়ে দিন।
ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org