দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক গবেষণা বলছে, অপেক্ষাকৃত অপরিচ্ছন্ন ঘরগুলোতে ডেরা বাঁধেছে অন্তত ৩২৪ রকমের জীবাণু। ঘরের এসিতেও মাথাব্যথার কারণ খুঁজে বের করেছেন গবেষকরা!
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘর আরামদায়কই শুধু নয়, স্বাস্থ্যকরও। অসুস্থ শরীর দ্রুতই সেরে ওঠে, সংক্রমণমুক্তির রাস্তাও চওড়া হয় বাতানুকুল এই পরিবেশে। তাই হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটও (সিসিইউ) হয় এয়ার-কন্ডিশনড। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই সরল তত্ত্বকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।
চীনা সেই গবেষণাপত্রের দাবি, এসি ঘর স্বাস্থ্যকর, তাতে সন্দেহ নেই। তবে যদি সেই ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়, তবেই। অন্যথায় কিন্তু মুশকিল। ঘর যদি হয় স্যাঁতসেঁতে, অপরিচ্ছন্ন, তাহলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
‘এলসেভিয়ার’-এর ‘বিল্ডিং অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটির দাবি হলো, অপরিষ্কার ঘরে এসি চলার অর্থ, নানা ব্যাকটেরিয়ল, ভাইরাল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশনের আশঙ্কা আরও বেড়ে যেতে পারে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রথাগত ধারণার উল্টো এই দাবিতে চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছেন চিকিৎসকরা। কেনোনা, এসি’র ব্যবহারের চেয়েও ওই গবেষণাপত্রে বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয় ঘরের সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিচ্ছন্নতার উপর।
চীনের চোংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও স্কুল অফ আর্কিটেকচার অ্যান্ড আরবান প্ল্যানিং বিভাগের গবেষকরা তুলে ধরেছেন, এসি’র হাওয়া যখন ঘর ঠাণ্ডা করছে, ঠিক তখনই হাওয়ার সার্কুলেশনে বেশি চাঙ্গা হয়ে উঠছে ঘরের মধ্যে বাসা বাঁধা জীবানুকুলকেই।
গবেষণা বলছে যে, অপেক্ষাকৃত অপরিচ্ছন্ন ঘরগুলোতে ডেরা বেঁধেছে অন্তত ৩২৪ রকমের জীবাণু।
গবেষকরা তাদের স্টাডির জন্য বেছে নিয়েছিলেন ইয়াংশে নদীর অববাহিকায় অবস্থিত ৪টি শহরকে। কারণ হলো, চোংকিং, উহান, নানজিং এবং সাংহাইয়ের মতো ওই শহরগুলো বেশ ঘনবসতিপূর্ণ ও সেখানকার আবহাওয়ায় তাপ এবং আর্দ্রতাও প্রবল।
ভ্যাপসা গরমে গেরস্থ বাড়িগুলোতে এসি চলা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। স্টাডিতে উঠে এসেছে, যেসব ঘর খুব একটা পরিচ্ছন্ন নয়, সেগুলোতে বসবাসকারী ১৪% মানুষই গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে নানা জীবাণু সংক্রমণে ভুগছেন নিয়মিতভাবে।
সেইসব ঘরের বাতাস, আসবাব, বিছানা এবং পর্দা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দেখা গেছে, অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার গেরস্থের চেয়ে সেইসব ঘরে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ফাঙ্গাসের উপস্থিতি অনেক বেশি। সেই জীবাণুগুলোকে এসি’র হাওয়া ঘরের মধ্যে অতিসক্রিয় করে তুলেছে বলে জানান গবেষকরা।
মাইক্রোবায়োলজি বিশেষজ্ঞ সৌগত ঘোষ বলেছেন, ‘এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ গবেষণা। ঘরের সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানোত্তীর্ণ না হলে যে রোগের প্রকোপ বাড়ে, সেটি জানাই ছিল। তবে এসি যে সেই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটায়, সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও প্রমাণিত হলো চীনা ওই গবেষণায়।’
তিনি মনে করছেন যে, করোনাকালে হওয়া একটি চীনা গবেষণার কথা। গুয়াংঝৌ প্রদেশের সেই গবেষণাপত্রে তুলে ধরা হয়, করোনার মতো ড্রপলেট নির্ভর সংক্রমণও এসি ঘরে কীভাবে বায়ুবাহিত ভাইরাসের মতো আচরণ করছে
সৌগতর সঙ্গে একমত হয়েছেন এক মাইক্রোবায়োলজি বিশেষজ্ঞ সুস্মিতা ভট্টাচার্য। তিনিও বলেন, ‘ঘরে থাকা জীবাণুকুল সারফেসের উপরে থাকে অধিকাংশ সময়। ঘরের এসি হাওয়া চলাচল বাড়িয়ে দেয় বদ্ধ জায়গাগুলোতে। তাতেই ওইসব জীবাণুকুল বাতাসে চলে ফিরে বেড়ায় এবং সংক্রমণ ছড়াতে থাকে।’ তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>
আসুন আমরা আবার মাস্ক পরা শুরু করি। কারণ করোনা তথা COVID-Omicron XBB আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ও বিপজ্জনক। এটি সহজে শনাক্তও হয় না, তাই সবার মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি।
১. COVID-Omicron XBB এর নতুন উপসর্গগুলো:
i) কাশি নেই।
ii) জ্বর নেই।
বেশিরভাগ উপসর্গ হলো—
iii) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
iv) মাথাব্যথা।
v) গলাব্যথা।
vi) পিঠে ব্যথা।
vii) নিউমোনিয়া।
viii) ক্ষুধা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া।
২. এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টার চেয়ে ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং মৃত্যুহারও বেশি।
৩. উপসর্গগুলো খুব অল্প সময়েই মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং কখনও কখনও কোনো স্পষ্ট উপসর্গ না দেখিয়েই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে।
৪. তাই আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এই ভ্যারিয়েন্টটি নাসোফ্যারেঞ্জিয়াল (নাকের গভীর অংশ) অঞ্চলে পাওয়া যায় না, বরং সরাসরি ফুসফুসের “উইন্ডো” অংশে আঘাত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
৫. কিছু রোগীর মধ্যে জ্বর বা ব্যথা না থাকলেও এক্স-রে করলে মৃদু নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নাক দিয়ে নেয়া স্যাম্পলে (সোয়াব) পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসছে, যা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট (ফলস নেগেটিভ) এর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এ কারণে এই ভাইরাসকে ‘ধূর্ত’ বলা হচ্ছে।
এর মানে হলো— এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। এই কারণে COVID-Omicron XBB এত বেশি ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
৬. যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গাতেও অন্তত ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, সঠিকভাবে মাস্ক পরুন, এবং নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলুন—even যদি কাশি বা হাঁচি না থাকে।
এই COVID-Omicron XBB “ওয়েভ” প্রথম COVID-19 মহামারির চেয়েও ভয়াবহ।
সতর্কতা, সচেতনতা ও বৈচিত্র্যময় সুরক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।
✅ দয়া করে এই বার্তাটি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
✅ শুধুমাত্র নিজের কাছে রেখে দেবেন না।
✅ যত বেশি সম্ভব লোককে জানিয়ে দিন।
ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুলাই ২৭, ২০২৫ 5:47 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…