দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯ মহররম ১৪৪৭ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।

যে মসজিদটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি কুমিল্লার বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ। এই মসজিদটি একটি দৃষ্টি নন্দন মসজিদ যা খ্যাতিমান মসজিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এটি কুমিল্লার গুনাইঘর (উত্তর) ইউনিয়ন, দেবিদ্বার উপজেলায় অবস্থিত। এই গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদটি কুমিল্লা জেলা সদর হতে উত্তর-পশ্চিম কোনে দেবিদ্বার পৌর এলাকায় ও দেবিদ্বার সদর হতে ২ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণে গুনাইঘর গ্রামে অবস্থিত।
দেবীদ্বারের ঐতিহ্য ‘গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ’টি নির্মাণশৈলির দিক থেকে দেশের বিখ্যাত মসজিদগুলোর অন্যতম মসজিদ হিসেবেও দাবী করা হয়।
নতুন ও পুরাতন নির্মাণ পদ্ধতির সংমিশ্রণে অসংখ্য ক্যালিওগ্রাফিতে আঁকা ব্যতিক্রমধর্মী নির্মাণ শৈলির সাত গম্বুজ মসজিদটি দেশব্যপী দৃষ্টি আকর্ষণও করছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ক্যালিওগ্রাফি এবং নির্মাণ কৌশল। এই মসজিদের চার কোনায় চারটি মিনার রয়েছে। চার মিনারের কোন মসজিদ বাংলাদেশে এটিই প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে। এইসব মিনারগুলোর উচ্চতা ৮০ফুট। এই মসজিদে গম্বুজ রয়েছে ৭টি। মসজিদটি ৪৮ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩৬ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট।
জানা গেছে, এই মসজিদের মূল অংশে শতাধিক মুসুল্লি নামাজ পড়তে পারেন। এ ছাড়াও মসজিদটির বারান্দায় অর্থাৎ সামনের টাইলস করা খালী জায়গাটিতে মূল অংশের দ্বিগুণ মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের উপর আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও রয়েছে। এতে বিভিন্ন রং’র বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করা হয়। এই মসজিদে লেখা ‘আল্লাহু’ শব্দটি রাতের অন্ধকারে তারকার মতো জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকে। অনেক দূর থেকেও এই আলো দেখা যায়। মসজিদটি’র পশ্চিম পার্শ্বে দৃষ্টি নন্দিত একটি ফল এবং ফুলের বাগানও রয়েছে। এছাড়াও বিশাল আকৃতির জলধার রয়েছে। এই জলাধারের পাড়সহ চার দিক শ্বেত পাথরে মোড়ানো।
এই মসজিদের ক্যালিওগ্রাফির দিকে নজর দিলেও অবাক হতে হয়। এখানে বাংলা এবং আরবিতে ক্যালিওগ্রাফি রয়েছে। কারুকাজ এবং নকসা শিল্পী হিসাবে কাজ করেন শিল্পী আরিফুর রহমান।
এই মসজিদটির স্থপতি ছিলেন শাহিন মালিক। এই মসজিদে আরবি অক্ষরে সুন্দর করে লিখা হয়েছে ‘সুরা আর রহমান’, ‘আয়তুল কুরছি’ এবং ‘চার কূল’। মসজিদের ভেতরের মূল অংশে ৫টি গম্বুজ রয়েছে। এর একটিতে লিখা আয়তুল কুরসী। অপর চারটি গম্বুজের ভেতরে লিখা ৪টি কূল। মসজিদটির বাইরের আবরণে বহু চাঁদ তারা আঁকা রয়েছে। মসজিদটিতে ইট, সিমেন্ট, বালির পাশাপাশি চিনামাটি এবং টাইলস ব্যবহৃত হয়েছে। এটিতে কারুকার্য করা হয়েছে মোঘল তুর্কী এবং পারস্যের সংমিশ্রণে। এখানে ৩৫০ মন চিনামাটির টুকরো এবং ২০৭টি গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। এই মসজিদটিতে ৬টি এসি এবং একটি ঝারবাতি রয়েছে। একটি আধুনিক মসজিদে যা কিছু থাকার কথা সবই রয়েছে কুমিল্লার বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ। তথ্যসূত্র: https://www.comilla.gov.bd/
>>>>>>>>>>>>>>>>>>
করনা সম্পর্কে নতুন করে জরুরী সতর্কতা
আসুন আমরা আবার মাস্ক পরা শুরু করি। কারণ করোনা তথা COVID-Omicron XBB আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ও বিপজ্জনক। এটি সহজে শনাক্তও হয় না, তাই সবার মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি।
১. COVID-Omicron XBB এর নতুন উপসর্গগুলো:
i) কাশি নেই।
ii) জ্বর নেই।
বেশিরভাগ উপসর্গ হলো—
iii) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
iv) মাথাব্যথা।
v) গলাব্যথা।
vi) পিঠে ব্যথা।
vii) নিউমোনিয়া।
viii) ক্ষুধা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া।
২. এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টার চেয়ে ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং মৃত্যুহারও বেশি।
৩. উপসর্গগুলো খুব অল্প সময়েই মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং কখনও কখনও কোনো স্পষ্ট উপসর্গ না দেখিয়েই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে।
৪. তাই আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এই ভ্যারিয়েন্টটি নাসোফ্যারেঞ্জিয়াল (নাকের গভীর অংশ) অঞ্চলে পাওয়া যায় না, বরং সরাসরি ফুসফুসের “উইন্ডো” অংশে আঘাত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
৫. কিছু রোগীর মধ্যে জ্বর বা ব্যথা না থাকলেও এক্স-রে করলে মৃদু নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নাক দিয়ে নেয়া স্যাম্পলে (সোয়াব) পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসছে, যা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট (ফলস নেগেটিভ) এর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এ কারণে এই ভাইরাসকে ‘ধূর্ত’ বলা হচ্ছে।
এর মানে হলো— এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। এই কারণে COVID-Omicron XBB এত বেশি ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
৬. যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গাতেও অন্তত ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, সঠিকভাবে মাস্ক পরুন, এবং নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলুন—even যদি কাশি বা হাঁচি না থাকে।
এই COVID-Omicron XBB “ওয়েভ” প্রথম COVID-19 মহামারির চেয়েও ভয়াবহ।
সতর্কতা, সচেতনতা ও বৈচিত্র্যময় সুরক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।
✅ দয়া করে এই বার্তাটি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
✅ শুধুমাত্র নিজের কাছে রেখে দেবেন না।
✅ যত বেশি সম্ভব লোককে জানিয়ে দিন।
ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org