দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি ভাষা মূল্যায়নের সুযোগ আরও প্রসারিত করতে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি নতুন উদ্যোগের সূচনা করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং টেন মিনিট স্কুল।
১৯ আগস্ট এই বিষয়ে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ইংরেজি ভাষা মূল্যায়ন পরীক্ষা সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের সূচনা হয়।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে টেন মিনিট স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখন হতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রাইমারি ইংলিশ টেস্ট এবং সেকেন্ডারি ইংলিশ টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বাস্তব জীবনে ইংরেজি ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে, অগ্রগতির মূল্যায়নে এবং অ্যাকাডেমিক এবং পেশাগত সাফল্যের জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে।
প্রাইমারি ইংলিশ টেস্ট মূলত ৯ হতে ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে পড়া, লেখা, শোনা এবং বলার প্রাথমিক দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া হয়। অপরদিকে, সেকেন্ডারি ইংলিশ টেস্ট ১৩ হতে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি, যা তাদের উচ্চতর ভাষাগত দক্ষতা মূল্যায়ন করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে তাদের উচ্চশিক্ষা বাকর্মজীবনের জন্য প্রস্তুতন হতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে বিশ্ব মানসম্পন্ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নির্ভরযোগ্য ইংরেজি মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই অংশীদারিত্ব একটি যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের এক্সামস ডিরেক্টর ম্যাক্সিম রেইম্যান বলেন, “বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি ভাষা মূল্যায়নের সুযোগ প্রসারিত করার ক্ষেত্রে এই অংশীদারিত্ব এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। টেন মিনিট স্কুলের সাথে কাজ করার মাধ্যমে আমরা শহর এবং গ্রামের আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পারব। আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পরীক্ষাগুলো শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ভাষা দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করবে, যেন তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে অ্যাকাডেমিক ও পেশাগত সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে পারে।” চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কান্ট্রি এক্সামস ডিরেক্টর বাংলাদেশ ম্যাক্সিম রেইম্যান, হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট তাহনী ইয়াসমিন; ইংলিশ অ্যান্ড এক্সামসের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার তাবাসসুম চৌধুরী; এবং টেকনিকাল সাপোর্ট অফিসার, রউনাক জাহান নাবিলা ।
অপরদিকে, টেন মিনিট স্কুলের পক্ষ হতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী আয়মান সাদিক, প্রোগ্রাম এবং পার্টনারশিপ লিড শামস আসিফ চৌধুরী, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ রিসান এবং বিজনেস ও অপারেশনস লিড অভিপ্সু দাশ গুপ্ত।
টেন মিনিট স্কুলের প্রোগ্রাম এবং পার্টনারশিপ লিড শামস আসিফ চৌধুরী বলেন, “ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব শিক্ষার শিক্ষাগত অর্জনকে আরও স্বচ্ছ এবং অর্থবহ করবে। প্রাইমারি ইংলিশ টেস্ট এবং সেকেন্ডারি ইংলিশ টেস্ট চালুর মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের সত্যিকার সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে সহায়তা করছি এবং অভিভাবকদের কাছে সন্তানের অগ্রগতি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছি।”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>
আসুন আমরা আবার মাস্ক পরা শুরু করি। কারণ করোনা তথা COVID-Omicron XBB আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ও বিপজ্জনক। এটি সহজে শনাক্তও হয় না, তাই সবার মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি।
১. COVID-Omicron XBB এর নতুন উপসর্গগুলো:
i) কাশি নেই।
ii) জ্বর নেই।
বেশিরভাগ উপসর্গ হলো—
iii) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
iv) মাথাব্যথা।
v) গলাব্যথা।
vi) পিঠে ব্যথা।
vii) নিউমোনিয়া।
viii) ক্ষুধা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া।
২. এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টার চেয়ে ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং মৃত্যুহারও বেশি।
৩. উপসর্গগুলো খুব অল্প সময়েই মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং কখনও কখনও কোনো স্পষ্ট উপসর্গ না দেখিয়েই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে।
৪. তাই আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এই ভ্যারিয়েন্টটি নাসোফ্যারেঞ্জিয়াল (নাকের গভীর অংশ) অঞ্চলে পাওয়া যায় না, বরং সরাসরি ফুসফুসের “উইন্ডো” অংশে আঘাত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
৫. কিছু রোগীর মধ্যে জ্বর বা ব্যথা না থাকলেও এক্স-রে করলে মৃদু নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নাক দিয়ে নেয়া স্যাম্পলে (সোয়াব) পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসছে, যা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট (ফলস নেগেটিভ) এর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এ কারণে এই ভাইরাসকে ‘ধূর্ত’ বলা হচ্ছে।
এর মানে হলো— এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। এই কারণে COVID-Omicron XBB এত বেশি ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
৬. যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গাতেও অন্তত ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, সঠিকভাবে মাস্ক পরুন, এবং নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলুন—even যদি কাশি বা হাঁচি না থাকে।
এই COVID-Omicron XBB “ওয়েভ” প্রথম COVID-19 মহামারির চেয়েও ভয়াবহ।
সতর্কতা, সচেতনতা ও বৈচিত্র্যময় সুরক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।
✅ দয়া করে এই বার্তাটি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
✅ শুধুমাত্র নিজের কাছে রেখে দেবেন না।
✅ যত বেশি সম্ভব লোককে জানিয়ে দিন।
ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ২১, ২০২৫ 5:46 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের দুই অভিনেত্রী কাজল-টুইঙ্কেলের ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’…