দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত ১৯ বছর বয়সে মেয়েরা কৈশোর থেকে পূর্ণ যৌবনে প্রবেশ করে। ছেলেদের ক্ষেত্রে আরও দু’এক বছর বেশি সময় লাগে। এই বয়সে অনেক তরুণ-তরুণীর মধ্যে হঠাৎ রাগ, উগ্রতা বা আচরণের পরিবর্তন দেখা যায়।
এটা একদিক দিয়ে স্বাভাবিক, তবে সঠিকভাবে সামলাতে না পারলে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে।
এমন হলে কিছু করণীয় পরামর্শ নিচে দেওয়া হলো:
# ধৈর্য ধরে শুনুন ও যখন রাগ করে বা উগ্র আচরণ করে, তখন পাল্টা রাগ না দেখিয়ে শান্তভাবে শুনতে চেষ্টা করুন।
# অনেক সময় তারা শুধু চায় তাদের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে কেউ শুনুক।
# এই সময় বন্ধুর মতো আচরণ করুন। কারণ বয়সের এই সময়টা ওদের কাছে বন্ধু বেশি জরুরি, অভিভাবক কম।
# খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে উল্টো প্রতিক্রিয়াও আসতে পারে।
# ওর আগ্রহ, শখ বা পরিকল্পনার বিষয়ে ইতিবাচকভাবে জড়িত হওয়ার চেষ্টা করুন।
# সঠিক সময় আলাপ করুন
# রাগের মুহূর্তে কিছু বললে ঝগড়া বেড়ে যায়।
# বরং ও শান্ত হলে তখন সহজভাবে বলুন: “তুমি যখন রাগ করো, আমার কষ্ট হয়। আমরা কি একটু ভেবে কথা বলতে পারি?”
# স্বাধীনতা ও দায়িত্বের ভারসাম্য দিন
# ওকে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিন, তবে একইসাথে দায়িত্ববোধ শিখতে সাহায্য করুন। যেমন পড়াশোনা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, নিজের কাজ গুছিয়ে নেওয়া—এসব বিষয়ে তাকে উৎসাহ দিন।
# মানসিক স্বাস্থ্যের খোঁজ নিন
# দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত উগ্রতা বা আচরণগত সমস্যা থাকলে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন বা হরমোনজনিত কারণে হতে পারে।
# প্রয়োজনে একজন মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সেলরের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করতে পারেন।
# নিজেরও নিয়ন্ত্রণ রাখা দরকার
# সন্তানকে সামলাতে গেলে অনেক সময় অভিভাবক নিজেই দমে যান। তাই নিজেকেও শান্ত রাখার কৌশল শিখতে হবে।
# প্রার্থনা, ধ্যান কিংবা নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকেও মানসিকভাবে শক্ত রাখবে।
সংক্ষেপে বললে, আপনার ছেলে বা মেয়েকে বোঝা ও গ্রহণ করা সবচেয়ে বড় কাজ। উগ্র আচরণকে কঠোর শাস্তি দিয়ে দমন নয়, বরং বোঝাপড়া, ভালোবাসা এবং সঠিক সময়ে পরামর্শের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করাই উত্তম।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫ 9:26 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের দুই অভিনেত্রী কাজল-টুইঙ্কেলের ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত কয়েক দিন ধরে, নিউ সাউথ ওয়েলস (অস্ট্রেলিয়া) এবং দ্বীপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনা বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা এমন একটি কৃত্রিম চিপ উদ্ভাবন…
View Comments
I recently came across Lorenda Tekstil while searching for high-quality scarves and shawls, and I must say their collection is truly impressive. The variety of modern and classic designs, combined with excellent fabric quality, makes them stand out in the textile industry. Definitely a trusted brand for anyone looking for stylish and affordable scarf options. Highly recommended! Lorenda Tekstil