দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের রাজনৈতিক সংকটের বরফ মনে হচ্ছে গলতে শুরু করেছে। আবারও মানুষ আশাবাদি হচ্ছেন।
২৫ অক্টোবর যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হতে থাকে দেশ। শুক্রবারের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি একদিকে মোড় নেই। এরপর বিরোধীদলীয় নেত্রীর পাল্টা রূপরেখা দেওয়ার পর মনে হচ্ছে এখন সঠিক পথেই এগুচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার দেয়া দুই ধরনের প্রস্তাব নিয়ে সর্বত্র চলছে নানামুখী আলোচনা। রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উভয় প্রস্তাবের নানা বিশ্লেষণ করছেন।
ইতিমধ্যেই বিদেশী কুটনীতিকরাও এগিয়েছেন এ বিষয়ে। দুই নেত্রীর প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি-পাল্টা যুক্তির এক ধরনের বাহাস শুরু হলেও প্রায় সকলেই মনে করছেন, দশম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘাতের আশঙ্কার মধ্যে দুই নেত্রী নিজ নিজ অবস্থান থেকে রূপরেখা উপস্থাপন করায় নাটকীয় গতি পেয়েছে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে। সংলাপের রুদ্ধ দ্বার খোলার উপায় বের হতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক নেত্রীদের মধ্যে যে বিশাল বরফ জমেছিল অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সে বরফ গলতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে চিঠি ও ফোনালাপ হয়েছে। কূটনীতিকদের তৎপরতা ও গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে একটা ভালো খরব এদেশের জনগণ পাবেন।
দুই নেত্রীর প্রস্তাব নিয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখালেও তারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর প্রস্তাবের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি হলেও তা সংলাপের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করবে। দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনায় বসলে সমস্যা সমাধানের পথ বেরিয়ে আসতে পারে।
২৫ অক্টোবরের পর দেশের পরিস্থিতি কি হবে না হবে তা নিয়ে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সর্বত্র এক নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। দেশের মানুষ বিশেষ করে গতকালের পর মনে করছেন টানেলের মাথায় ছোট্ট আলো দেখা যাচ্ছে। ওই ছোট্ট আলোতেই এগিয়ে যাবেন আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা এবং জাতিকে সঠিক পথ দেখাবেন। সে আশায় দিন গুণছে আজ ষোল কোটি মানুষ।