দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চুল মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ। তবে আধুনিক যুগে পরিবেশ দূষণ, অনিয়মিত জীবনযাপন, পুষ্টির ঘাটতি এবং মানসিক চাপের কারণে অনেকেই অল্প বয়সেই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন।
এক গবেষণায় দেখা যায়, চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হলেও সঠিক যত্ন নিলে এটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সুষম খাদ্য গ্রহণ চুলের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে জরুরি। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, তাই ডিম, মাছ, দুধ, ডাল এবং বাদামের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত। এছাড়া আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, সি, ই এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স চুলের গোড়া শক্ত রাখতে বিশেষভাবে সহায়ক। সবজি, ফল ও শাক এসব পুষ্টি উপাদানের ভালো উৎস।
মাথার ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুল মজবুত হয়। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল কিংবা আমলকীর তেল চুলের জন্য উপকারী। তবে অতিরিক্ত রাসায়নিকযুক্ত শ্যাম্পু এবং হেয়ার কালার ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এগুলো চুলের ক্ষতি করে।
মানসিক চাপ চুল পড়ার অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, হতাশা বা অনিদ্রা শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা চুল পড়া বাড়ায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। ধুলাবালি ও ঘামের কারণে মাথার ত্বকে খুশকি ও ফাঙ্গাস হতে পারে, যা চুল পড়া ত্বরান্বিত করে। এজন্য নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা প্রয়োজন। গরম পানির পরিবর্তে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মাথা ধোয়া ভালো, কারণ অতিরিক্ত গরম পানি চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয়।
জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করাও জরুরি। যেমন- অতিরিক্ত হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার, চুল টেনে বাঁধা বা অতিরিক্ত স্টাইলিং চুল ভাঙা ও পড়ার কারণ হয়। তাই প্রাকৃতিকভাবে চুল শুকাতে দেওয়া এবং ঢিলে করে বাঁধা উত্তম।
ধূমপান ও মদ্যপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসও চুল পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলো রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয় এবং চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছাতে বাধা দেয়। তাই সুস্থ চুলের জন্য এ ধরনের অভ্যাস পরিহার করা উচিত।
তাই বলা যায়, চুল পড়া পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব না হলেও সঠিক খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে এটি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। গবেষণা বলছে, যাদের জীবনযাত্রা সুশৃঙ্খল, পুষ্টিকর খাদ্যে ভরপুর এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে, তাদের চুল তুলনামূলক কম ঝরে। তাই সুস্থ এবং সুন্দর চুলের জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এসব করণীয় অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on অক্টোবর ১, ২০২৫ 3:47 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাঁচা মরিচ আমাদের রান্নাঘরের এক অপরিহার্য উপাদান। খাবারের স্বাদ, গন্ধ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৪ নভেম্বর মুক্তি পায় কলকাতার ‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…