দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যালাক্সি এ সিরিজের সর্বশেষ সংযোজন গ্যালাক্সি এ০৭ উন্মোচন করেছে স্যামসাং বাংলাদেশ।
স্মার্টফোনের মিডরেঞ্জ সেগমেন্টে দীর্ঘস্থায়ী ফোন ব্যবহারে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে ফ্ল্যাগশিপ ফিচার সমৃদ্ধ গ্যালাক্সি এ০৭।
ব্যবহারকারীদের নিজেদের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ফোন ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতে তিনটি সংস্করণে বাজারে এসেছে স্মার্টফোনটি, যথা: ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪/১২৮ জিবি স্টোরেজ এবং ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ। অনেক স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই ফোনের রঙকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন; সেসব স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কথা বিবেচনা করে কয়েকটি আকর্ষণীয় রঙে ফোনটি বাজারে এনেছে স্যামসাং, যথা: সবুজ, কালো এবং হালকা বেগুনি। গ্যালাক্সি এ০৭ শুধুমাত্র যে কোন স্মার্টফোনই নয়, তরুণদের জন্য চমৎকার সঙ্গী।
নতুন গ্যালাক্সি এ০৭ -এ রয়েছে ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ৬.৭ ইঞ্চির বিশাল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে, যা গেমিং, ভিডিও দেখা বা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করা, সবক্ষেত্রেই নিশ্চিত করবে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অভিজ্ঞতা। ডিভাইসটিতে রয়েছে স্যামসাং নক্স ভল্ট; এর ফলে, ফোনটি হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার, দুই দিক থেকেই সুরক্ষিত। তথ্যের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়ায়, ব্যবহারকারীরা ফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা ছাড়াই।
স্মার্টফোনটির ব্যবহারকারীরা যেন তাদের প্রতিদিনের দারুণ মুহূর্তগুলো সেইভ করতে রাখতে পারেন, সেজন্য গ্যালাক্সি এ০৭ -এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের ট্রু ডুয়াল মেইন ক্যামেরা এবং এর পাশাপাশি ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। চমৎকার এ সেলফি ক্যামেরার মাধ্যমে আরও উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ছবি তোলার পাশাপাশি ভিডিও কল করা যাবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
নতুন এই ফোনের উন্মোচন নিয়ে স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের এমএক্স ডিভিশনের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ডিভিশনের হেড অব প্রোডাক্ট অ্যান্ড মারকম সৈয়দ মো. বদরুল আরিফিন বলেন, “সবার জন্য উদ্ভাবনী স্মার্ট সেবা সহজলভ্য করতে অঙ্গীকারবদ্ধ স্যামসাং। গ্যালাক্সি এ০৭ -এর উন্মোচন আমাদের এই প্রতিশ্রুতি পূরণেরই প্রতিফলন। এ সিরিজে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি সফটওয়্যার সাপোর্ট, প্রিমিয়াম ডিজাইন, উন্নত ক্যামেরা ও নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা ফিচার। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের আরও বেশি ব্যবহারকারীর জন্য অনন্য স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, গ্যালাক্সি এ০৭ বর্তমানের ডিজিটালি সচেতন প্রজন্মের প্রয়োজন পূরণে সক্ষম হবে।”
গ্যালাক্সি এ০৭ উন্মোচনের মাধ্যমে স্যামসাং আবারও প্রমাণ করেছে যে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীদের কথা বিবেচনা করে প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং দামের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্টফোনটিতে দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারযোগ্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। স্মার্টফোনটির বাজারমূল্য শুরু হয়েছে ১৩,৯৯৯ টাকা থেকে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on অক্টোবর ১২, ২০২৫ 6:39 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…