দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবী হতে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকা ওজে২৮৭ গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একে অপরকে প্রদক্ষিণ করা দু’টি ব্ল্যাকহোলের (কৃষ্ণগহ্বর) ছবি তুলেছেন ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব টারকুর বিজ্ঞানী মাউরি ভালটোনেনের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এতোদিন শুধু একক সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের ছবি তোলা গেলেও এবারই প্রথম বার মহাকাশে একে অপরের কক্ষপথে আবদ্ধ দু’টি ব্ল্যাকহোলের ছবি তোলা সম্ভব হলো।
দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা সন্দেহ করতেন যে, ওজে২৮৭ গ্যালাক্সির ভেতরে দু’টি ব্ল্যাকহোল লুকিয়ে রয়েছে। সেই দু’টি ব্ল্যাকহোল পৃথকভাবে দেখার মতো শক্তিশালী টেলিস্কোপ এতোদিন ছিল না। সেজন্য বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর অ্যানটেনার সঙ্গে চাঁদ হতে প্রায় অর্ধেক দূরত্বে অবস্থিত একটি স্যাটেলাইটকে একত্র করে কার্যকরভাবেই পৃথিবীর চেয়ে ১৫ গুণ বড় এক রেডিও টেলিস্কোপ তৈরি করেন। সেই টেলিস্কোপের মাধ্যমেই তোলা হয় ওই ছবি।
একে অপরের পাশদিয়ে প্রদক্ষিণ করা দু’টি ব্ল্যাকহোলের বিষয়ে বিজ্ঞানী মাউরি ভালটোনেন বলেন যে, ‘এই প্রথমবার আমরা একে অপরের চারপাশে প্রদক্ষিণ করা দু’টি ব্ল্যাকহোলের ছবি তুলতে সক্ষম হলাম। কোয়াসার ওজে২৮৭–এর কেন্দ্রে এই ব্ল্যাকহোল দু’টি অবস্থিত। একটি অত্যন্ত উজ্জ্বল গ্যালাকটিক কোর রয়েছে সেখানে। ব্ল্যাকহোল নিজে কোনো রকম আলো নির্গত করছে না। ব্ল্যাকহোলে থাকা গ্যাস এবং ধূলিকণা এতো গরম হয়ে যায় যে, এরা বিপুল পরিমাণে বিকিরণ তৈরি করে।’
একে অপরের পাশদিয়ে প্রদক্ষিণ করা দু’টি ব্ল্যাকহোলের মধ্যে ছোট কৃষ্ণগহ্বরটি বৃহৎ সঙ্গীর চারপাশে ঘোরার সময় উচ্চ শক্তির কণার জেটও নিক্ষেপ করছে। বিজ্ঞানী অধ্যাপক ভালটোনেন জানিয়েছেন যে, মূলত ওজে২৮৭ বিশেষ একটি বস্তু। সেখানে দু’টি ব্ল্যাকহোল একে অপরের চারপাশে ১২ বছরের ব্যবধানে প্রদক্ষিণ করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা অনেক বছর নিশ্চিত থাকা সত্ত্বেও কোয়াসারের অভ্যন্তরে দু’টি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল লুকিয়ে থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে কয়েক দশক সময় লেগে গেছে। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on অক্টোবর ১৪, ২০২৫ 1:00 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…