ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেছেন মারিয়া রেহমান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেছেন মারিয়া রেহমান। তাঁর এই নিয়োগ বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক তৈরিতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘ যাত্রায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং তরুণ প্রজন্ম নিয়ে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে মারিয়া রেহমানের। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ কাউন্সিলে যোগদানের পর থেকে মারিয়া রেহমান বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর ও করাচির লাইব্রেরিগুলোতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা পুনরায় চালু করা। পূর্বে, মারিয়া রেহমান পাঞ্জাব অঞ্চলের এরিয়া ডিরেক্টর হিসেবে এবং সর্বশেষ ব্রিটিশ কাউন্সিল পাকিস্তানের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মারিয়া রেহমান ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের শিক্ষা, ইংরেজি, শিল্প ও তরুণদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উদ্যোগের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করবেন। এর পাশাপাশি উদ্ভাবনী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের যুক্তরাজ্য ও বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ বৃদ্ধিতেও কাজ করবেন তিনি।

Related Post

নতুন এই দায়িত্ব সম্পর্কে মারিয়া রেহমান বলেন, “ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের শিক্ষা, শিল্প ও তরুণ সমাজের সম্পৃক্ততা নিয়ে কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য একটি সম্মানের বিষয়। আমাদের অংশীদার ও কমিউনিটির সঙ্গে মিলে তরুণদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করতে চাই, যা আমি সবসময় আন্তরিকভাবে প্রাধান্য দিয়ে এসেছি।

তাঁর আগমন উপলক্ষে ১৪ অক্টোবর ব্রিটিশ কাউন্সিল এক আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সরকারের প্রতিনিধি, উন্নয়ন অংশীদার, শিক্ষাঙ্গন, গবেষণা সংস্থা থেকে বিভিন্ন প্রতিনিধি এবং সমাজকর্মীসহ আরও অনেক পৃষ্ঠপোষক উপস্থিত ছিলেন।

এই অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের বিদায়ী ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্সকে আন্তরিকভাবে বিদায় জানানো হয়। তিনি গত ৩ বছরে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

ব্রিটিশ কাউন্সিল গত ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং ইংরেজি ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির এসব উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনা বিকাশ ও বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।

খবর সংবাদ বিজ্ঞপিত্ত

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on অক্টোবর ১৬, ২০২৫ 5:05 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

শীতে ঠোঁট ফাটা হতে রক্ষা পেতে করণীয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…

% দিন আগে

নাসার রোভার মঙ্গল গ্রহে বজ্রপাতের সম্ভাব্য শব্দ ধারণ করলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…

% দিন আগে

স্বাস্থ্য সচেতন হতে হলে আপনাকে অবশ্যই পেয়ারা খেতে হবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…

% দিন আগে

ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার না বলা কথা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা তার জীবনের অভিজ্ঞতার…

% দিন আগে

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য ‘মেঘে ভাসমান’ বাড়ি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এক বাসিন্দা তার বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন-“ফ্লোটিং…

% দিন আগে

এমন সুন্দর প্রকৃতি বোধহয় আর হতে পারে না

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…

% দিন আগে