দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে স্কটল্যান্ডের উত্তর দ্বীপপুঞ্জ এবং ওয়েস্টার্ন হাইল্যান্ডসে স্টর্ম “অ্যামি” (Storm Amy) এরপর একটি একেবারেই আশ্চর্য ঘটনা ঘটে- অনেকেই মেঘের নিচ থেকে সাঁতার দিচ্ছে এমন অনুভব করেছিলেন।

কিছু মানুষ তো বলছেন, যেন তারা সমুদ্রর নিচ থেকে মেঘ দেখছিলেন। এই মেঘ হলো “Asperitas” — একটি বিরল মেঘরূপ যা ২০১৭ সালে প্রথমবার বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে -দি টাইমস্।
এই ঘটনা শুধুই চমক নয়- এটি প্রকৃতির বেসুরালি এক ইঙ্গিত হতে পারে। মেঘরূপটি তখন তৈরি হয় যখন বায়ুমণ্ডলে প্রবল অস্থিরতা থাকে: স্টর্মের আগে/পরবর্তী সময়ে বায়ু ও দাহ্য তরঙ্গ (gravity waves) মেঘকে উপরে-নিচে উঠিয়ে নিয়ে যায়, ফলে তৈরি হয় ঢেউয়ের মতো গঠন। -দি টাইমস্।
বিষয়টি কী ব্যতিক্রমী?
এত “চেহারার” মেঘ প্রায় দেখা যায় না। সাধারণ মেঘ যেমন সিলিন্ড্রিক বা প্লেইন গঠন করে, Asperitas হলো নিচের পিঠে ঢেউয়ের মত গঠন তৈরি করে।
বিজ্ঞানীরা এখনও পুরোপুরি ব্যাখ্যা করতে পারেননি কেনো এবং কোথায় এই মেঘ হয়।
সাধারণ মানুষের মধ্যে এই মেঘরূপ এক ধরনের ইউরোপিয়ান রোমান্টিক পেইন্টার Caspar David Friedrich-এর ১৮৩৫ সালের ছবি “Seashore by Moonlight”–এও দেখা গিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। -দি টাইমস্।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org