দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, শতক না পেলেও নিজের ইনিংসে তিনি সন্তুষ্ট। কিন্তু কিঞ্চিত বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকদের বারংবার সেঞ্চুরির প্রশ্নে।
টেস্টে শূন্যে লাফিয়ে হাত ছুড়ে, হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে উদযাপন করার শতক নেই সাড়ে তিন বছর। ঢাকা টেস্টে দুবার অর্ধশতকে পৌঁছালেও তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবার সেই ‘শতক’ নিয়ে করা প্রশ্নে আক্রমণাত্মক মেজাজে জবাব দেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ৩২.১১ তুলে ২১৮ বল খেলে ৭০ রান করেন তামিম, এ নিয়ে কথা উঠতেই তামিম বলেন, “আজকের ইনিংসটা নিয়ে আমি আগে থেকে কোনো লক্ষ্য স্থির করিনি। এই ইনিংসটা ছিল দলের জন্য। আমার নিজের কোনো লক্ষ্য ছিল না। আমি ১০০ করব, ৮০ করব এমন কিছু না। কিছুটা হতাশ। ১০০ করা উচিত ছিল। কিন্তু হয়নি।”
সেঞ্চুরির প্রশ্নে তামিম সোজা বলেন, “এটা নিয়ে এত প্রশ্ন উঠছে, এর কারণে কিন্তু আমারই ক্ষতি হচ্ছে। এটা আপনাদেরও একটু বোঝা উচিত। এতবার একটা প্রশ্ন করা উচিত না। সবকিছুর একটা লিমিট আছে। প্রত্যেক দিন দেখা হলেই এক প্রশ্ন—সেঞ্চুরি হচ্ছে না। সেঞ্চুরি কে না করতে চায়। আপনাদের বুঝতে হবে, ক্রিকেট হচ্ছে মেন্টাল গেম। এটা আমার ওপর এক ধরনের বাড়তি চাপ তৈরি করছে। আমি অনুরোধ করব এ ধরনের প্রশ্ন আর না করার।”
তামিম আবারও বলেন, “দেখা হলে প্রত্যেক দিন একই প্রশ্ন, সেঞ্চুরি হচ্ছে না কেন? এতোবার একটা প্রশ্ন করা উচিৎ নয়, সব কিছুরই একটা সীমা থাকে।”
পরিস্থিতির দাবি মেনে স্বভাব বিরুদ্ধ খেলার প্রসঙ্গে তামিমও জানান, “কঠিন তো অবশ্যই। আমি স্ট্রোক খেলতে পছন্দ করি। একটা সময় অফস্পিনাররা বল করছিল। স্পিনারদের বিপক্ষে আমার খুব প্রিয় একটা শট আছে, সেটাও খেলিনি। প্রত্যেকটা ইনিংসেই আপনি কোনো না কোনো কিছু শিখতে পারবেন। টেস্ট ক্রিকেটে এমন এমন পরিস্থিতি আসে যখন আপনাকে পরিস্থিতির দাবি মেনে খেলতে হয়। আপনি আপনার স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারবেন না। এটা একটা শেখার জিনিস। আমার জন্য এবং আমার সঙ্গে যে ব্যাট করছে তার জন্য।”
খানিকটা উষ্মা নিয়ে তামিম সাংবাদিকদের আবারও বললেন, “আমি যদি মেরে খেলি, সবাই বলে আমি মেরে খেলছি। আমি ধীরে ব্যাটিং করলে সবাই বলে আমি ধীরে ব্যাটিং করি। আমি আসলে করবটা কী, এটা আপনারা আমাকে বলে দিন। এ জিনিসটা এত অতিরিক্ত হচ্ছে! আমি স্বাভাবিক খেললে বলে, আমি মেরে খেলছি। আস্তে খেললে বলে আস্তে খেলছি। আমাকে আমার মতো খেলতে দিন প্লিজ। লেট মি প্লে মাই গেম।”