দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে স্বাগত জানালো ক্রেমলিন। রাশিয়া বলছে যে, এই নীতিমালা তাদের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই সামঞ্জস্যপূর্ণ।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত ওই নথিতে ইউরোপ সভ্যতা বিলুপ্তির মতো হুমকির উল্লেখ করা হয়। এতে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘মূল’ স্বার্থ হিসেবে উল্লেখ করার পাশাপাশি মস্কোর সঙ্গে কৌশলগত স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের দিকেও জোর দেওয়া হয়।
গতকাল (রবিবার) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পরিবর্তিত নীতির অনেক অংশই রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ‘মিল খুঁজে পাওয়া যায়’। তিনি নথিতে ন্যাটোকে ‘ক্রমাগত সম্প্রসারণশীল জোট’ হিসেবে দেখার প্রবণতা কমিয়ে আনার যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিকেও স্বাগত জানিয়েছেন। ন্যাটো সম্প্রসারণকে রাশিয়া বরাবরই নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হিসেবেই দেখে আসছে।
তবে পেসকভ সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘ডিপ স্টেট’ – যে শব্দটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রায়ই ব্যবহার করেন- তাদের অবস্থান নতুন কৌশল নথির সঙ্গে পুরোপুরিভাবে মিলবে কি-না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
ইউক্রেন যুদ্ধ
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর ও ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক কৌশল নথিগুলোতে রাশিয়াকে শীতল যুদ্ধ-পরবর্তী স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ওয়াশিংটনের অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করা-এই সবই নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
হোয়াইট হাউসের মধ্যস্থতায় রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়েই পৌঁছেছে। এই প্রেক্ষাপটে জেলেনস্কি আজ (সোমবার) লন্ডনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎসের সঙ্গে চারপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।
জেলেনস্কি বারবার ইউরোপীয় অংশীদারদের দৃঢ় সমর্থনও চাইছেন, বিশেষ করে তখন, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কর্মকর্তা শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে কিয়েভকে সীমান্ত ছাড়ের প্রস্তাব বিবেচনা করতে বলেছেন।
চীনের দিকেই দৃষ্টি
নতুন নিরাপত্তা কৌশলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রস্থলে রাখা হয়েছে ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলকেই। এটিকে ‘অর্থনৈতিক এবং ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার কেন্দ্র’ হিসেবে উল্লেখ করে তাইওয়ান প্রণালীতে সংঘাত প্রতিরোধে সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর অঙ্গীকারও করা হয়।
অপরদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় নিঃসঙ্গ রাশিয়া অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মার্চে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে আমার কাছে একটি জিনিস খুব স্পষ্ট, তা হলো রাশিয়া এবং চীনকে একত্র হতে দেওয়া মোটেও উচিত নয়।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নথি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক কাঠামো বদলে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আলোকেই আন্তর্জাতিক মিত্রতা নতুনভাবে সাজানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এতে আরও গুরুত্ব দেওয়া হয় ইউরোপের ‘পশ্চিমা পরিচয়’ রক্ষায় ও ‘সভ্যতার বিলুপ্তি’ ঠেকাতে- যে ভাষা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিদক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক বয়ানের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ বলেও মত বিশ্লেষকদের।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ 10:26 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা তার জীবনের অভিজ্ঞতার…