দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ গুগল নিজেদের দিনে দিনে ছাড়িয়েই যাচ্ছে, এবার গুগোল আলোচনায় এসেছে সান ফ্রান্সিসকো সাগরের বুকে নিজেদের জন্য গোপন এক ডাটা সেন্টার তৈরির করে।
সান ফ্রান্সিসকো সাগরের উপরে আশ্চর্য এক ৪ তলা ভাসমান ভবন দেখা যাচ্ছে যা দেখে অনেকেই আশ্চর্য হচ্ছেন, এ ভবনের নাম বিল্ডিং -৩। কেউই জানেন না আসলে এখানে কি হচ্ছে কিংবা এটি স্থাপত্য কার মালিকানায়। তবে দেখেই বুঝা যায় এই স্থাপত্য কোন প্রযুক্তির কাজে ব্যবহার হচ্ছে এবং এটি কয়েকটি কয়টি আধুনিক কার্গো দিয়ে তৈরি।
অনেকেই জানেন না বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন গুগল ২০০৯ সালে এমন একটি ডাটা সেন্টার তৈরির জন্য আবেদন করেছিলেন এবং পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। যাই হোক CNET এর প্রতিবেদক Daniel Terdiman অবশ্য তার তথ্য প্রমান দিয়ে তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন সান ফ্রান্সিসকো সাগরের উপরে স্থাপিত এই স্থাপত্য আর কারো নয় এর মালিক স্বয়ং গুগল। এই ৪ তলা বিশাল ভবন টি গুগলেরই গোপন ডাটা সেন্টার।
গুগলের সাগরের বুকে এমন বিশাল ভাসমান ডাটা সেন্টার করার পেছনে অবশ্য নানান কারণ রয়েছে। বিশ্বের বৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন গুগলের প্রয়োজন বিশাল ডাটা সংরক্ষণের ভান্ডার আর এ ডাটা সেন্টার পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন প্রচুর বিদ্যুৎ। আর গুগলকে নিজেই নিজেদের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তাদের ডাটা সেন্টার চালাতে চাইলে অবশ্যই পানির স্রোত অর্থাৎ পানি প্রবাহ রয়েছে এমন কোন স্থানে ডাটা সেন্টার স্থাপন সহজ লভ্য এবং সাশ্রয়ী হবে। সেই চিন্তা থেকেই সান ফ্রান্সিসকো সাগরের বুকে গুগলের এই গোপন ডাটা সেন্টার যার বিশাল বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো হচ্ছে সান ফ্রান্সিসকো সাগরের পানি প্রবাহ থেকেই।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই কয়দিন বিশ্ব মিডিয়াতে এই ভাসমান ডাটা সেন্টারের বিষয়ে নানান আলোচনা হলেও গুগল এখনও অফিশিয়ালি নিশ্চিত করেনি এই ভাসমান ডাটা সেন্টার গুগোলের! ফলে এখনই আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে বলতে পারিনা এটি গুগলের তবে কোন কিছুই আর গোপন নেই, আশা করা হচ্ছে গুগল খুব শীঘ্র তাদের বিবৃতি দিবে।
ধন্যবাদান্তেঃ দি টেকজার্নাল ও CNET