বললে অনেক কথাই বলা যায়। কিন্তু এ মুহুর্তে মনে পড়ছে ওয়েনডে সিরিজ শুরুর আগে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের বলা একটা কথা। তিনি রসিকতা করে বলেছিলেন, “এবার ৪-০তে ম্যাচ হারার শঙ্কা নেই, কারণ ম্যাচইতো তিনটি!” বিপদের বিষয় হলো নিউজিল্যাণ্ড এখন ৩-০ তে পরাজয়ের মুখোমুখি! সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলীয় খেলার অপূর্ব নিদর্শন দেখিয়ে নিউজিল্যাণ্ডকে ২০৭ রানে অল-আউট করে ৪০ রানের জয় তুলে নিয়ে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।
টসে জিতে এদিন বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নেয়। অভিষিক্ত শামসুর রহমানের সঙ্গে তামিম ইকবালের ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটি বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দিলেও রানের গতি ছিল ধীর। এনামুল হকের জায়গায় খেলতে নেমে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন শামসুর।
দেখেশুনে খেলে অর্ধশতকে পৌঁছানোর পরপরই আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে অ্যান্ডারসনের বলে বোল্ড হয়ে যান তামিম। ম্যাচের সর্বোচ্চ ৫৮ রান করা তামিমের ৮৬ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। এর আগে রান রেটের চাপে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে নাথান ম্যাককালামের বলে শামসুর (২৫) স্টাম্পিং হয়ে ফিরে যান।
মমিনুল খেলতে নেমে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে খেলে ৩৪ বলে পাঁচটি ৪ এর সহায়তায় ৩১ রান করেন। এরপর কোরি অ্যান্ডারসনের বলে পুল করতে গিয়ে নাথানের হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও দলের বিপদে হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও নাঈম ইসলাম। এই জুটি দলকে ৩ উইকেটে ১৬৯ রানের স্বস্তিকর জায়গায় নিয়ে যান। তবে এরপরই ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে পর পর তিন ওভারে মুশফিক, নাঈম ও নাসির হোসেনকে বিদায় করেন নিশাম এবং কাইল মিলস।
এক পর্যায়ে বাংলাদেশ ১৭৩/৬ এ পরিণত হলেও সোহাগ গাজী (২৬), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২১) ও মাশরাফি বিন মুর্তজার (১৪) কার্যকর ইনিংসের বদৌলতে বাংলাদেশ পেয়ে যায় ২৪৭ রানের লড়াকু পুঁজি।
কিউইরা খেলতে নেমে প্রথম আঘাত হানেন বাংলাদেশ সেরা পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১ রানে কিউই ওপেনার হামিশ রাদারফোর্ডকে বোল্ড করেন। মাশরাফির পরপরই জোড়া আঘাত হানেন সোহাগ আর রাজ্জাক ফলে মাত্র ৩৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড।
চতুর্থ উইকেটে টেলর আর কোরি অ্যান্ডারসন ৬১ রানের জুটি গড়ে কিউইদের আশার আলো দেখালেও তা স্থায়ী হতে দেননি মাশরাফি। ২৭তম ওভারে কোরি অ্যান্ডারসনকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত করে এই জুটি ভেঙে আবারও পর্দায় আবির্ভূত হন মাশরাফি।
মুমিনুল এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে এবং তার কিছুক্ষণ পরই টম ল্যাথামকে রানআউট করেন রুবেল হোসেন। নিউজিল্যাণ্ডকে ১৩১/৬ এ পরিণত করে ম্যাচ তখনই বাংলাদেশ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়।
সোহাগ দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে বোলিং করতে এসে ফিরিয়ে দিলেন নিশামকে, পরের ওভারে বিদায় করেন উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকা রস টেলরকেও। ২৩ বলে ২৫ রান করে নাথান ম্যাককালাম বিপদজনক হয়ে ওঠার আগেই মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন মমিনুল।
কিউইদের ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করা মাশরাফি ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে সাউদিকে ফিরিয়ে দিয়ে নিশ্চিত করেন নিউজিল্যাণ্ডের অল-আউট। বাংলাদেশকে এনে দেন সিরিজ জয়ের আনন্দ!
আগামী ৩ নভেম্বর ফতুল্লায় নিশ্চিত হওয়া যাবে নিউজিল্যাণ্ড এবারও বাংলাওয়াশ হচ্ছে কি না!
বাংলাদেশঃ ৪৯ ওভারে ২৪৭ (তামিম ৫৮, শামসুর ২৫, মুমিনুল ৩১, মুশফিক ৩১, নাঈম ১৬, নাসির ৩, মাহমুদুল্লাহ ২১, সোহাগ ২৬, মাশরাফি ১৪, রাজ্জাক ৪*, রুবেল ২; অ্যান্ডারসন ৪/৪০, নিশাম ৪/৫৩, নাথান ১/৪২, মিলস ১/৪৭)
নিউজিল্যান্ডঃ ৪৬.৪ ওভারে ২০৭ (ডেভসিচ ১৯, রাদারফোর্ড ১, এলিয়ট ১৪, টেইলর ৪৫, অ্যান্ডারসন ৩৭, ব্রেন্ডন ১৪, ল্যাথাম ০, নিশাম ৮, নাথান ২৫, মিলস ২৭*, সাউদি ০; সোহাগ ৩/৩৪, মাশরাফি ৩/৪৩, মুমিনুল ২/১৩, রাজ্জাক ১/৩৫)
ম্যান অব দ্য ম্যাচঃ সোহাগ গাজী
This post was last modified on অক্টোবর ৩১, ২০১৩ 11:10 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…