দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাজস্থান রয়্যালসের ৩ খেলোয়াড় শ্রীশান্ত, অজিত চান্দিলা ও অঙ্কিত চ্যাবন সহ ১১ জন জুয়াড়িকে আইপিএল প্রশাসন স্পট ফিক্সিং এর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। শ্রীশান্ত ও অন্য দুই জনকে দিল্লী পুলিশ এরই মাঝে আটক করেছে। এছাড়াও সাতজন জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লী পুলিশ জানায় এ ঘটনার সাথে মুম্বাইয়ের আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সংযোগ রয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য আছে। এদিকে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায় আইপিএলে আরও কিছু খেলোয়াড় পাতানো খেলায় জড়িত রয়েছেন। বিস্তারিত পড়ুন…
পুলিশকে শ্রীশান্ত জানান প্রতি ম্যাচে স্পট ফিক্সিং তথা জুয়াড়িরা তাদের নির্দেশ মত খেলার জন্য খেলোয়াড়দের ৬০ লাখ রুপি করে দেয় ওভার প্রতি। শ্রীশান্ত জুয়াড়িদের নির্দেশে তার ওভারে রান বেশি দেয়ার কাজ করেছে বলে প্রমাণ আছে। এদিকে রাজস্থান রয়্যালসের আরেকজন গ্রেপ্তারকৃত বোলার অভিজিৎ চন্দিলা জানান, তাদের তৃতীয় বোলার অঙ্কিত চৌহান প্রতি ওভারের স্পট ফিক্সিং এর জন্য ৬০ লাখ রুপি করে নেন জুয়াড়িদের থেকে।
দিল্লী পুলিশের একটি বিশেষ টিম শ্রীশান্তকে তার বন্ধুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে, আর অপর দুই খেলোয়াড়কে আটক করে তাদের দলের হোটেল থেকে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস-রাজস্থান রয়্যালস খেলার পর রাতে এক অভিযানে এই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্র জানায় অভিযুক্তরা আগে থেকেই পুলিশের নজরে ছিলেন, কিন্তু তারা তা জানতেন না।
এদিকে আইপিএল চেয়ারম্যান রাজিব শুক্লা জানান তিনি সম্পূর্ণ তথ্য হাতে পেলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।
গতবছর আইপিএল এর বেশ কিছু খেলোয়াড়কে বিসিসিআই স্পট ফিক্সিং এর জন্য আইপিএলে নিষিদ্ধ করে। তবে তাদের মাঝে কোন জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিলেন না।
স্পট ফিক্সিং এর বিষয়ে রাজস্থান রয়্যালস বলেছে, “এ ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।”
রাজস্থান রয়্যালসের প্রধান কর্মকর্তা রাঘু ইয়ার বলেন “গত রাতে আমাদের টিমের ৩ খেলোয়াড়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং আমরা পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করেছি।” তিনি আরো বলেন, “আমাদের দলের ৩ খেলোয়াড়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় এবং তাদের স্টেটমেন্ট দেখে আমরা অবাক হলাম, আমরা আইপিএলে এ ধরনের ফিক্সিং নিয়ে বিসিসিআই কে অফিসিয়ালি অবহিত করব। যাতে ভবিষ্যতে আইপিএল এ ধরনের ফিক্সিং থেকে নিরাপদে থাকে, এবং আমরা আইন প্রয়োগকারি সংস্থাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব তাদের তদন্তের স্বার্থে। ”
এদিকে বিসিসিআই এক বিবৃতিতে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াতে জানায়, স্পট ফিক্সিং এ জড়িতদের প্রমাণ সাপেক্ষে নিষিদ্ধ করা হবে। দিল্লী পুলিশ একটি প্রেস কনফারেন্সে জানায় আইপিএল কে কেন্দ্র করে মুম্বাই আন্ডার ওয়ার্ল্ডে আনুমানিক ৪০,০০০ কোটি রুপির স্পট ফিক্সিং এ পর্যন্ত ঘটে গেছে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্ডিয়া টুডে