দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ অনলাইনের জগতের বিকৃত যৌনাচারের আরেক নাম ‘ওয়েবক্যাম চাইল্ড সেক্স’| দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এই বিকৃত এবং ঘৃণ্য কাজে আগ্রহী বাংলাদেশেও বিদ্যমান। শিশু যৌননিপীড়ণ বিষয়ে গনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং যৌনপীড়কদের চিহ্নিত করতে নেদারল্যান্ড ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা তেরে দেস হোমসের একটি মিশনে বের হয়েছে ৪ বাংলাদেশী সহ এক হাজার যৌননিপীড়কের নাম।
‘আন্ডারকাভার অপারেশন’ নামের একটি অপারেশন শুরু করেছিলেন তেরে দেস হোমস। উদ্দেশ্য শিশু যৌননিপীড়কদের চিহ্নিত করা এবং বিষয়টির ভয়াবহতা ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করা। এই লুকোচুরি অভিযানের কাজে তৈরি করা হয় কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর সাহায্যে কাল্পনিক ও অ্যানিমেটেড শিশু চরিত্র সুইটি। এই ১০ বছর বয়সী ফিলিপাইন সুইটিকে চ্যাটরুমে উপস্থাপন করা হয়।
সেখান থেকেই বের হয়ে আসে কদর্য শিশু যৌন নিপীড়কদের আসল চেহারা। প্রায় ৭০ দিনের ব্যবধানে ২০ হাজার লোক সুইটির সাথে যৌন আলাপচারিতার চেষ্টা করেছেন – যৌন হয়রানিমূলক মন্তব্য করেছেন অনেকেই। এদের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে ওয়েবক্যামের দিয়ে সুইটির সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করেন ১ হাজার লোক। আর বিশ্বব্যাপী ৭১ টি দেশের মোট ১ হাজার যৌননিপীড়কের মধ্যেই আছেন ৪ বাংলাদেশি নাগরিক – যা আমাদের দেশের জন্য খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।
অপারেশনে উঠে আসা যৌননিপীড়কদের ব্যক্তিদের নামের তালিকা এবং তেরে দেস হোমসের তৈরি করা ভিডিও প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভিডিও প্রতিবেদন থেকে জানা যায় – তাদের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে। কম্পিউটার হ্যাক না করেই সুইটির সাথে চ্যাটরত অবস্থায় দেওয়া যৌন নিপীড়কদের ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, ভিডিও সংগ্রহ করা হয়। এবং সেইসব তথ্য যাচাই বাছাই করে তাদের আসল পরিচয়, ফোন নম্বর এবং ঠিকানা সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়। নভেম্বরের ৪ তারিখে ইন্টারপোলের কাছে এইসব তথ্য হস্তান্তর করা হয়।
“তেরে দেস হোমস” যে তালিকা তৈরি করেছেন তাদের মধ্যে ১১০ জন ব্রিটিশ, ২৫৪ জন আমেরিকান, ১০৩ জন ভারতীয়, ২০ জন পাকিস্তান সহ ৪ জন বাংলাদেশী রয়েছে।
ভিডিও প্রতিবেদন
জাতিসংঘ জরিপ অনুযায়ী প্রতিদিন বিশ্বে প্রায় সাড়ে সাত লাখ শিশু যৌনপীড়কের উপস্থিতি থাকে অনলাইনে। বুঝায় যাচ্ছে শিশুদের এইসব বিকৃত মন মানসিকতার দানবদের হাত থেকে বাঁচানো খুব সহজ কিছু নয়। কঠিন বটে কারণ অনেকেই নকল নাম এবং মালিককে চিহ্নিত করা সম্ভব নয় এমন প্রিপেইড ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন এইসব নোংরা কাজে ব্যবহারের জন্য। সুতরাং, সচেতনতার বিকল্প কিছু নেই। যথাযথ আইন প্রয়োগ, কঠিন শাস্তির বিধান, পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টা ব্যতীত এই ঘৃণ্য সামাজিক অবক্ষয় বন্ধ করা কঠিন ব্যাপার। তবুও শিশুদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী এবং নিরাপদ অনলাইন জগত তৈরি করতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি – আশা করা যায় সবাই এই ব্যাপারে সচেতন থাকবেন।
তথ্যসূত্রঃ তেরে দেস হোমস
This post was last modified on নভেম্বর ১৩, ২০১৩ 11:18 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৮ চৈত্র ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তৃষ্ণা নিবারণের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে এই সময়ের তাজা রসালো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক নামেই যাকে সবাই চেনেন তিনি হচ্ছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, অদ্ভুত ওই ঘটনাটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৭ চৈত্র ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মনের মধ্যে কথা চেপে না রেখে, তা খোলাখুলি বলে দিলেও…
View Comments
আসলে আমরা বড়রাই খারাপ কারন রাস্তা দিয়ে একটা ছোট্ট মেয়ে হেটে গেলেই আমরা কু দিষ্টিতে তাকিয়ে থাকি