দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ পৃথিবীর তৃতীয় সর্ববৃহৎ দীর্ঘ ২ কিলোমিটার লম্বা ক্যাবল কার স্থাপিত হল চট্রগ্রামের রাঙ্গুনিয়াতে। ক্যাবল কারে চড়ে উপর থেকে দেখা যাবে পাহাড়ে ঘেরা কৃত্রিম লেক এবং অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক(পাখি দের অভয়আশ্রম)।
সংক্ষেপেঃ
বিস্তারিতঃ দেশের এক মাত্র এবং এশিয়ার বিশাল এই ক্যাবল কার তৈরি করা হয়েছে চট্রগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার কোদালা বন বিটের সবুজ বনানী ঘিরে। এখানে একই সাথে স্থাপিত হয়েছে দেশের এক মাত্র পাখি শালা এবং বিনোদন কেন্দ্র যার নাম শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক।
প্রাকৃতিক এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষন, গবেষণা এবং বিনোদন এই বিষয় সমূহ মাথায় রেখেই রাঙ্গুনিয়াতে গড়ে তোলা হয়েছে এই বৃহৎ পার্ক। এখানে থাকবে দেশ বিদেশের হাজারো পাখির সংগ্রহ এবং দেশি বিলুপ্ত প্রায় পাখি সমূহের সংরক্ষণ এবং রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় রয়েছে বিস্তৃত পাহাড় রাশি এখানে এই সব পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক। পার্কটি আয়তনে এশিয়ার বৃহৎ পাখি সংগ্রহ শালা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে একই সাথে এখানে তৈরি করা হয়েছে নান্দনিক কৃত্রিম লেক যেখানে পাখিরা বিচরণ করছে প্রাকৃতিক আবহে।
সম্পূর্ণ পার্ক এলাকা উপর থেকে দেখতে তৈরি করা হয়েছে এডভেঞ্চার সমৃদ্ধ সুদীর্ঘ ২ কিলোমিটার বিশাল ক্যাবল কার লাইন। পাহাড় থেকে টাওয়ার তৈরি করে সেখানেই তৈরি করা হয়েছে ক্যাবল কার স্টেশান যাত্রীরা এসব স্টেশান থেকে ক্যাবল কারে উঠা নামা করবেন।
আন্তর্জাতিক মানের এই পার্ক দেশী বিদেশী পর্যটক আকর্ষণের জন্য প্রস্তুত। এখানে রয়েছে উন্নত মানের হোটেল রেস্তরাঁ সহ সকল সুবিধা।
পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ বলেন, “পর্যটন, পাখি সংরক্ষণ এই দুই বিষয় মাথায় রেখে রাঙ্গুনিয়ার ৫’শ একরের উপর বিশাল বন ভূমি এবং পাহাড়ি অঞ্চল নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই পার্ক। বিশ্বে বাংলাদেশ ছাড়া কেবল মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া’তে এমন পার্ক রয়েছে।
সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই আধুনিক পার্ক তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে এই আধুনিক পার্কে প্রথম এক মাস প্রবেশ এবং ক্যাবল কারে ভ্রমণ সম্পূর্ণ ফ্রি। প্রকৃতি এবং পাখিদের জীব বৈচিত্র্য বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে এই ফ্রি প্রবেশের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য পার্কটিতে বর্তমানে বেশ কিছু বিরল দেশী প্রজাতির বৃক্ষ লাগানো হয়েছে ফলে এখানে অবমুক্ত করা হাজার হাজার পাখি আপনার চিত্তকে বিমোহিত করবে এটা নিশ্চিত।
This post was last modified on আগস্ট ১৬, ২০১৪ 12:09 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বৈশাখ এলে বাংলা সালের কথা আমাদের মনে পড়ে। আসলে এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিনের বেলায় ঘুমানোকে আমরা ভাত ঘুম বলে থাকি। তবে দিনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডিপিএস এসটিএস সিনিয়র স্কুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়েছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অ্যান্ড চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩- এর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি দেশের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রীর ছোটবেলার…
View Comments
SOTTO JENE NEW'S LIKHON OJOTHA MANUS K BIBRANTO KORBEN NA
খুবই খুশির খবর। । বিশেষ করে চুয়েট বাসীর জন্য :)
i like best of news so thanks