দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সহিংস হরতালে প্রতিদিন প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। সরকার এখন নতুন নির্বাচনকালীন মন্ত্রীসভা গঠন করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির বেশির ভাগ নেতাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে মরিয়া হয়ে আছেন- এমনটাই মনে করছেন দি ইকোনমিস্ট।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দি ইকোনমিস্টের নিয়মিত ব্লগ বেনিয়ানে এক নিবন্ধে এমনই মন্তব্য করা হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর এটি প্রকাশিত হয়। আগামী ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইকোনমিস্টের ওই নিবন্ধে বলা হয়, খালেদা জিয়া যদি নির্বাচন বর্জনের পথকেই বেছে নিতে চান তখন তাঁকে নির্বাচনে অংশ নিতে মরিয়া নেতাদের অবশ্যই এটি বোঝাতে হবে যে ভোটে না গেলেই নেতাদের স্বার্থ রক্ষা হবে এবং এটি হবে পরবর্তী নির্বাচনে বড় জয়ের পথে প্রথম পদক্ষেপ। অন্যথায় তিনি এই নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ঝুঁকিতে পড়বেন বলে উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়, এতে দলে ভাঙন তৈরি হবে এবং একই সঙ্গে জানুয়ারির নির্বাচনকে বৈধতাও দেওয়া হবে।’
দি ইকোনমিস্টের ২০ নভেম্বরের ওই নিবন্ধের শিরোনাম ছিল- বাংলাদেশি পলিটিক্স : ট্রেঞ্চ ওয়ারফেয়ার’ (বাংলাদেশের রাজনীতি : পরিখা যুদ্ধ)। এ নিবন্ধে বলা হয়, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তাও ধসে পড়ছে। তবে বিএনপির নির্বাচন বর্জন করলে তাদের ক্ষমতায় থাকা আরো বেশ কিছু সময় দীর্ঘায়িত হতে পারে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতা সম্ভব বলেও নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়।
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান অর্থপাচার মামলায় খালাস পেয়েছেন উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়, এই রায়ের ফলে দুই নেত্রীর মধ্যে উত্তেজনা কিছুটা শিথিল হতে পারে। তবে সাময়িকীটি প্রশ্ন তুলেছে বিচার বিভাগ কতটুকু স্বাধীন তা নিয়ে। ওই নিবন্ধ বলেছে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে ভেদরেখা ভয়াবহ রকমের অস্পষ্ট। সাময়িকীটি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলিদের রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার কৌঁসুলি এবং এই ট্রাইব্যুনালের তদন্ত বিভাগের প্রধান নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেছে।’ সাময়িকীটির ওই নিবন্ধে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা আবার আগামী মাসে বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দিতে পারেন। নির্বাচনকালীন সরকার মূলত বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারেরই ছোট্ট সংস্করণ বলেও ইকোনমিস্টের ওই নিবন্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
মতামত জরিপগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে ওই নিবন্ধে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ৫ ভাগের ৪ ভাগ জনগণই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। সূত্র: ইকোনমিস্ট।
This post was last modified on নভেম্বর ২২, ২০১৩ 12:52 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতে মধু মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। যে কারণে এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসলে ২০২৫ সালের প্রযুক্তি–দুনিয়া কেমন যাবে, তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিল্মের মানুষদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে ২০২১ সালে সেন্সর বোর্ড থেকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের রাজধানী এনজামেনায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বোকো হারাম…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাতির পিঠে দড়ি দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে…