দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিক যুগের মতো এতো উন্নত ঘড়ি এবং সময় মাপার যন্ত্রপাতি নিশ্চয়ই মানব সভ্যতার প্রথম দিকে ছিলো না। তবে সময়ের মূল্য এখন যেমন আছে, তখনো ঠিক ততটাই ছিলো। আর এজন্য সে যুগের মানুষেরা নিজেদের মতো করেই বানিয়ে নিয়েছিলো দিনের হিসাব রাখার ক্যালেন্ডার। সম্প্রতি ঠিক তেমনই একটি ক্যালেন্ডার পাওয়া গেলো সার্বিয়ায়।
পূর্ব সার্বিয়ার স্মেদেরেভেস্কায় খুঁজে পাওয়া এই ক্যালেন্ডারটি অন্তত ৮ হাজার বছর পুরনো ক্যালেন্ডার। যে স্থানে এটি আবিষ্কার করা হয়েছে, সেটি নিওলিথিক সভ্যতার ঐতিহ্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এছাড়া প্রাচীণ ধর্ম বিশ্বাসের নানা নিদর্শনও পাওয়া যায় এই এলাকায়। নিওলিথিকেরা হলো মানব সভ্যতার সেই পূর্বপুরুষ যারা কৃষিকাজ এবং পশু পালন শুরু করেছিলো বলে ধরা হয়। এছাড়া বর্ণমালা, মাটির তৈজসপত্র বানানো, কাপড় বোনাও এই ধাপেই শুরু হয়।
দেখতে কলার মতো এই ক্যালেন্ডারে মোট ২৮টি ভাগ আছে, যা চাঁদের বিভিন্ন দশার হিসেব রাখতে সাহায্য করে। ক্যালেন্ডারটি তৈরি করা হয়েছে বন্য শুয়োরের দাঁত থেকে। কৃষিকাজের সাথে নির্দিষ্ট দিন এবং আবহাওয়ার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চাঁদের অবস্থান থেকে আদিম মানুষদের কাছে শস্য বোনার সবচেয়ে ভালো দিনটি হিসাব করে বের করার জন্য এই ক্যালেন্ডারটি তৈরি করা হয়েছিল বলে প্রত্নতাত্তবিদেরা মনে করছেন। প্রত্নতাত্তবিদেরা আরো বলছেন, এই ক্যালেন্ডারটি ছোট একটি চামড়ার ব্যাগে সহজেই পুরে রাখা যায়। সে হিসেবে বিশ্বের প্রথম পকেট ক্যালেন্ডার হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায় এটিকে।
কয়েকদিন আগে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিমিংহামের প্রত্নতাত্তবিদেরা স্কটল্যান্ডে মাটি খুঁড়ে একটি ক্যালেন্ডার পেয়েছেন যা ১০ হাজার বছর পুরনো বলে তারা দাবি করেছেন।
তথ্যসূত্র: দিটেকজার্নাল