দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের কত চেনা প্রাণী রয়েছে। এসব প্রাণী সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি। কিন্তু এমন কিছু তথ্য রয়েছে যেগুলো আমরা কখনও চিন্তাও করিনি। এমনই এক প্রাণীর কিছু কাহিনী আজ তুলে ধরা হবে।
উট চিনিনা এমন কথা কেও বলতে পারবে না। আরব দেশের মরুভুমিতে এই উট বসবাস করে। আবার আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও উট আছে। আমাদের দেশেও উট রয়েছে। কমলাপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পিছনে ‘বাবে মদিনা’ দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের এই উট। এখানে বহু উট রয়েছে। এই উটকে অনেকেই মরুভূমির জাহাজ বলে থাকেন। কারণ এই উট মরুভুমিতে প্রখর রৌদ্রের মধ্যে চলাচল করে থাকে। এক কথায় আরব মরুভুমির আদি বাহন এই উট। ৫শ’ পাউন্ড বোঝা নিয়ে একটি উট স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারে মরুভূমির ভিতর দিয়ে। শুধু তাই নয় এই উট মরুভুমিতে পানি এবং খাবার ছাড়াও অনেকদিন ধরে চলতে পারে।
আমাদের দেশে কোরবানীর ঈদের সময় ভারত থেকে প্রবেশ করে উট। অনেকেই কোরবানীর জন্য সখ করে কিনেন। এদের ওজন ৩শ থেকে ৬শ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত এসব উট বাঁচে। উট আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে, ব্যাকট্রেন ও ড্রমেডারি উট। এদের মধ্যে যাদের পিঠে দুইটি কুঁজ থাকে তাদেরকে বলে ব্যাকট্রেন উট। আর এককুঁজ বিশিষ্ট উটকে বলে ড্রমেডারি।
উক্ত কুঁজে জমে থাকে চর্বি জাতীয় পদার্থ। খাবার হজম হওয়ার সময় এক গ্রাম চর্বি গলে এক গ্রাম পানি বের হয়। যখন খাবার ও পানির অভাব দেখা দেয় তখন কুঁজে সঞ্চয় করে রাখা চর্বি থেকে তাদের খাদ্যের অভাব পুরণ হয়। আর এ কারণে একসময় কুঁজ শুকিয়ে যায়। তবে পর্যাপ্ত পানি পান করার পর তাদের কুঁজ আবার বড় হয়। মাত্র ১২/১৩ মিনিট সময়ের মধ্যে এরা ১১৩ লিটার পর্যন্ত পানি পান করতে পারে। ঘণ্টায় ২৫ মাইল বেগে উট দৌঁড়ায় তবে ৪০ মাইল পর্যন্ত এরা দৌঁড়াতে সক্ষম।
ছোট ছোট ঘাস, লতাপাতা বা গরু ছাগলের মতো খাদ্যও এরা খেয়ে থাকে। তবে এদের খিদে বেশি। খিদে পেলে চামড়ার জুতো পর্যন্ত চিবিয়ে খেয়ে ফেলে- এমন কথাও শোনা গেছে। পানি ছাড়া বেঁচে থাকার আরেকটি তথ্য রয়েছে। আর তা হলো, উটের দেহে ডিমের মতো বিশেষ এক ধরনের লাল রক্ত কণিকা থাকে যার সাহায্যে পানি ছাড়াই শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত কণিকা পৌঁছে দেয়। আর এ কারণেই উট পানি ও খাবার ছাড়া একটানা ৬ মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। মাইলের পর মাইল হেটে আসার পর এতো পরিশ্রম হয় অথচ তারপরও উটকে কখনও ক্লান্ত হতে দেখা যায় না। উট আরব দেশের অর্থাৎ মদিনার বাহন বলে এই উটের শক্তি এতো বেশি এমনটাই অনেকেই ধারণা করে থাকেন। এতে সৃষ্টি কর্তার রহমত নিহীত। তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর অনলাইন
This post was last modified on ডিসেম্বর ২২, ২০১৩ 1:17 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালীন ঝড় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে ফিলিস্তিনের গাজায় এক ভয়াবহ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার এক সৈকতে একজন কুকুরচালক হঠাৎ দেখতে পান একটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৩ পৌষ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট মাছ যেমন- মলা, কাচকি, পুঁটি, টেংরা, তিনকাটা, খরে ইত্যাদি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি এর ৩০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গণিতের বিশাল জগতে কোন সংখ্যাটি আসলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে?…