দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ চীনের শিমাও রুইন্স শহরে খননকাজ চলার সময়ে প্রত্নতত্ত্ববিদরা এক বীভৎস দৃশ্যের মুখোমুখি হন। তারা এক গণকবরের সন্ধান পান যেখানে ৮০ জন নারীর খুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে – গণকবরটি চার হাজার বছর আগের।
১৯৭৬ সালে চার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে পাথরের শহর শিমাও রুইনস আবিষ্কৃত হয়। গত বছর আশি জন নারীর খুলি সমৃদ্ধ গণকবরটি আবিষ্কৃত করা হয় এবং সেখানকার প্রাদশিক সরকার জানান খুলিগুলো একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে সাজানো ছিলো যদিও ওয়াল বা শহর খুঁড়ার কোন চিহ্ন আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা ধারণা করছেন – কোন প্রাচীন রীতি কিংবা কোন শহর প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে নারীদের হত্যা করে উৎসর্গ করা হয়েছে। চীনের উত্তর প্রদেশের একটি নব্যপ্রস্তর যুগের পাথরের শহর থেকে খুলিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে নারীদের লাশ ছিলো না, শুধু খুলিগুলো সাজানো ছিলো।
সেসময়ে ধ্বংসাত্বক কাজ, সহিংসতা বা সংঘাতের স্বার্থে যুদ্ধবন্দীদের কিংবা শত্রুদের হত্যা করা রীতি নীতি ছিলো। গণকবরের আশি জন নারীর খুলি ঐ সময়ের ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ডের স্বাক্ষ্য বহন করছে।
সভ্যতা বা প্রাচীন ধর্মীয় রীতিনীতিকে উৎসর্গ করার জন্য মানুষ হত্যার মত মর্মান্তিক ঘটনা চীনে এই প্রথম নয়, এরকম প্রচুর হত্যাকান্ডের নজির রয়েছে বিভিন্ন সভ্যতায়। সভ্যতার বিভিন্ন নিদর্শন থেকে আমরা জানতে পারি প্রাচীন সময়ে এই ধরনের আত্মত্যাগের ঘটনা প্রচলিত ছিলো। রাজা এবং সম্রাটদের মৃত্যুর পর তাদের সঙ্গে চাকর কিংবা রক্ষিতাদের হত্যা করে অথবা জীবন্ত সমাহিত করা হতো।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলিমেইল