দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দাম বাড়তে বাড়তে দেড়শ’তে ঠেকেছে পেঁয়াজের কেজি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সব রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে এবার। হরতাল অবরোধের কারণে অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে।
পাইকারি বাজারে ১১০ টাকা হলেও খুচরা বাজারে বেশ পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। ১৪০ থেকে খুচরা বাজারে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা অবরোধ-হরতালের কথা বলেছেন। চাল-ডাল, নুন-তেলসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম হরতাল অবরোধের জন্য বেড়েছে। যেহেতু দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে। কিন্তু একমাত্র পণ্য পেঁয়াজ যার দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকহারে। অথচ এখন নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেশ কমেও এসেছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই গত দু’দিন দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন শুধু হরতাল-অবরোধ নয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে একটি অশুভ চক্র বা সিন্ডিকেট দায়ি। বড় কিছু আড়তদাররা এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
ক’দিন আগেও ছিল মাত্র ৬৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। তবে অনেক ব্যবসায়ী আবার বলেছেন, হরতাল, অবরোধ, ভাঙচুর, আগুন, জীবনের ঝুঁকি, সর্বোপরি ট্রাক ভাড়া কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় শুধু পেঁয়াজ নয়, সব পণ্যতেই এমন হবে। এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে চলায় ক্রেতা সাধারণ ভীষণ হতাশ ও উদ্বিগ্ন।
অপরদিকে অন্যান্য পণ্যের আমদানিতেও দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। রাজধানীতে কাঁচা বাজারের আমদানি মোটামুটি থাকলেও মফস্বল শহরগুলোতে কৃষকরা একেবারেই দাম পাচ্ছেন না। গ্রামাঞ্চলে, বেগুন, কফি, সিমসহ অন্যান্য কাঁচা তরকারি উৎপাদন যারা করছেন তারা একেবারে পানির দামে তা বিক্রি করছেন। বিভিন্ন জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারের অবস্থা একেবারেই করুণ। কৃষকরা উৎপাদনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। জয়পুরহাটের বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি দরে। এসব বেগুন কৃষকরা ৩/৪ টাকার বেশি কেজি দরে বিক্রি করতে পারছেন না। একজন কৃষক জানান, সার-বীজ ও কামলার মজুরি দিয়ে বেগুন উৎপাদন করে যদি ৩/৪ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হয় তাহলে উৎপাদন না করে ঘরে বসে থাকাও ভালো। কারণ ৪ টাকার বেগুন পাইকারী ব্যবসায়ীরা কিনে আবার ৬/৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে এভাবে হাত বদল হয়ে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি দরে। কারণ ঢাকাসহ অন্যকোন মোকামে মালামাল নেওয়ার মতো পরিস্থিতি না থাকায় কৃষকরা একেবারেই দাম পাচ্ছেন না। এভাবে শুধু বেগুন নয়, নতুন আলু, ফুল কপি, বাঁধা কপিসহ অন্যান্য কাঁচা তরিতরকারির অবস্থা একই। একটি বড় সাইজের বাঁধা কপি মফস্বল শহরে বিক্রি হচ্ছে ১০/১২ টাকা মাত্র। অথচ এমন একটি বাঁধা কপি রাজধানীতে এখনও বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা করে।
হরতাল-অবরোধের কারণে সব পণ্যের দাম বাড়ছে। ট্রাকের ভাড়া বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জানা যায়, ট্রাক মালিকরা এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, গাড়িতে হর-হামেশা আগুন দেওয়ার ঘটনার কারণে ট্রাক বাইরে নামাতে চাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতির কারণে ট্রাক ভাড়া রাতারাতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধির কারণে প্রভাব পড়ছে পণ্য আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে। এই পরিস্থিতির কবে উন্নতি ঘটবে তা এখনও কেও জানেনা।
This post was last modified on ডিসেম্বর ৯, ২০১৩ 4:26 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া নিয়ে এবার আশার আলো দেখছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেট্রোল পাম্পের মধ্যে আগুন জ্বালানো নিষেধ থাকে সেটি আমাদের সকলেরই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২১ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা বলেন, খালি পেটে পেঁপে খাওয়া মোটেও ভালো নয়। এতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের পানির নিচে থাকা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন বছরের শুরুতেই সিনেমাপ্রেমীরা হিসাব কষতে বসেন, নতুন বছরে প্রিয়…