দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুর খাবার গ্রহণের অভ্যাস, ধরণ, তার শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ নির্ধারণ করে। জানা গেছে যেসব শিশু উচু চেয়ারে বসে খাবার নিয়ে খেলা করে এবং খাবার গ্রহণ করে তাদের বিকাশ দ্রুত হয়, যে কোন কিছুই খুব দ্রুত শিখতে পারে।
সচরাচর দেখা যায়, অনেক শিশুকেই খাবার গ্রহণের সময় খাবার নিয়ে খেলা করতে এবং তার আশেপাশের জিনিস নিয়েও খেলাধুলা করতে। গবেষকরা বের করেছেন যে – সাধারণত শিশুরা তার আশেপাশের জিনিসের নাম মনে রাখে সেটা হতে পারে চেয়ার, টেবিল,কুকুর কিংবা অন্য কোন জিনিস।
আড়াই শতাংশ শিশুর ক্ষেত্রে দেখা যায় – শিশুরা তার পরিচিত জিনিস থেকেই নতুন কিছু শেখা শুরু করে। তবে সেক্ষেত্রে গবেষকরা জানতে ইচ্ছুক যে কত দ্রুত তারা নতুন কিছু শিখতে পারে।
গবেষণাগারে এক বছর চার মাস বয়সী কিছু শিশুকে নির্বাচন করা হয় তারপর তাদেরকে দুই ভাগে ভাগ করে এক দলকে চেয়ারে বসানো হয় এবং আরেক দলকে টেবিলে বসানো হয়। একইসাথে তাদেরকে আপেল সস, পুডিং, জুস দেওয়া হয় এবং তাদের সেসব খাদ্যের সঠিক নাম না বলে ডেক্স, কিভ এই ধরনের রুপক নাম জানানো হয়। এক মিনিট পর সেসব শিশুকে একই ধরনের ভিন্ন আকৃতির খাবার চিহ্নিত করতে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে দেখা যায় যেসব শিশুরা চেয়ারে বসে খাবার নিয়ে খেলা করছিলো তারা দ্রুত খাবারগুলো চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় – আর টেবিলে বসে থাকা বাচ্চারা তুলনামূলকভাবে কম চিহ্নিত করে পেরেছিলো।
University of Iowa এর মনোবিজ্ঞানের প্রফেসর Larissa Samuelson জানান – অধিকাংশ শিশু যারা বাড়িতে খাবারের সাথে খেলা করে তারা অনেক কিছু শিখে ফেলে। বাড়ি হচ্ছে শিশুর মানসিক এবং বুদ্ধিগত বিকাশের জায়গা। শিশুরা তাদের খাদ্যের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে শিখে বাড়িতেই যদিও সেসবের নাম তারা ঐ বয়সে শিখতে পারে না। তবে একটু বড় শিশুরা তাদের প্রতিবেলা খাবারের সময় ভিন্ন ভিন্ন খাদ্য গ্রহণ করতে থাকলে সেসব খাদ্য সম্পর্কে খুব দ্রুত জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং খুব দ্রুতই তাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঘটতে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ TheTechjournal