দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে উন্মাদনায় মেতে উঠেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সফরে এসে এই ট্রফি স্থান পেয়েছে হোটেল র্যাডিশনে।
সোয়া ৬ কেজি ওজনের খাঁটি সোনার তৈরি ৩৬.৬ সেন্টিমিটার উচ্চতার অপূর্ব ট্রফি গতকাল ঢাকা পৌঁছে। অভ্যর্থনা জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ অন্য ফুটবল কর্মকর্তারা। এরপর ট্রফি যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে। এরপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সেটা দেখার পর গেছে রেডিসন হোটেলে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ফিতা কেটে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করার পর থেকে হোটেল র্যাডিসন শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফি প্রদর্শনী। আজও চলবে এই প্রদর্শনী। সকাল থেকেই র্যাডিশনে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত নাগরিক জীবনে যেন এক টুকরো অক্সিজেন হয়েই এসেছে বিশ্বকাপের এই ট্রফি।
গতকাল র্যাডিসন হোটেলে লম্বা লাইন দেখা গেছে। পরিবেশ দেখে মনে হয়েছে, চারদিকে যেন উৎসবের আমেজ। কারো হাতে ক্যামেরা। কেওবা মুঠোফোনে ছবি তুলতে ব্যস্ত। কেওবা ফিরে যাচ্ছেন সেই কল্পনার রাজ্যে। যে রাজ্যে আর্জেন্টিনার সেই মহানায়ক ম্যারাডোনা ছিল বিশ্ববাসীর হৃদয় জুড়ে। অনেকেই কাপ দেখতে এসে ম্যারাডোনাকে আবারও স্মরণ করছেন। মনে মনে কল্পনা করছেন একদিন যে কাপ ম্যারাডোনা চুম্বন করেছিলেন সেই কাপ এখন আমাদের হাতের নাগালেই!
ফিফার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও আয়োজক কোকাকোলা নিরাপত্তার কারণে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দেখাতে পারছে না প্রদর্শনী। এজন্য অনেক আনুষ্ঠানিকতা কাটছাঁট করতে হয়েছে। তারপরও মানুষ খুব কাছ থেকে দেখতে পারছে এই বিশ্বকাপের ট্রফি। এতেই খুশি সবাই।
উল্লেখ্য, ১২ সেপ্টেম্বর, ব্রাজিলের রিওডি জেনিরো শহর থেকে ২৬৭ দিন বিশ্বের ৮৯টি দেশ পরিভ্রমণে বের হয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফি। আগামীকাল বিশ্বকাপ ট্রফি যাবে ভুটানে। কোকাকোলা-ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি বিশ্ব পরিভ্রমণ হচ্ছে ভক্তদের অংশ নেয়া এবং খুব কাছ থেকে ট্রফি দেখার সবচেয়ে বড় আয়োজন। ফুটবল ভক্তরা এই পরিভ্রমণের সময় সেই আসল ট্রফিটির খুব কাছাকাছি চলে আসেন যেটা ফিফা বিশ্বকাপ জয়ী দলকে পুরস্কার হিসেবে উপহার দেয়। ২০১০ সালেও ফিফা ট্রফি বিশ্বের ৮৪টি দেশের ৯০টি শহর প্রদক্ষিণ করেছিল। এবার বিশ্বকাপ ট্রফি আরো নতুন ৫০টি দেশে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।