দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের প্রিয় অভিনেতা খালেদ খান আর নেই – আজ ২০ ডিসেম্বর রাত ৮:১৮ বারডেম হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন।
আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি, আগামীকাল সকাল ১০:৩০ শহীদ মিনারে মরদেহ রাখা হবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে পড়ুন ” জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অভিনেতা খালেদ খান“।
খালেদ খানের পরিবারসূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জনিয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মটো নিউরন সমস্যায় ভুগছিলেন। যে কারণে তার শরীরের মাংসপেশী অকেজো হয়ে যায়। ফলে তিনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে-চলতেও পারতেন না। বেশ কয়েক বছর ধরে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতেন তিনি। গত সোমবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মালিবাগে পারিবারিক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে বারডেমে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু পথিমধ্যে যানজটের কারণে রাস্তায়ই তার রেসপারেটরি অ্যাটাক হয়। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অকার্যকর হয়ে পড়ে। তারপরই তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিইউ’তে রাখা হয় এবং এখনও সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, আশির দশকে মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করে খুব কম সময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন খালেদ খান। হুমায়ূন আহমেদের ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’ ও ইমদাদুল হক মিলনের ‘রূপনগর’ নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের হয়ে মঞ্চে তিনি সহস্রাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। তার নির্দেশনায় মঞ্চস্থ ১০টির বেশি নাটক। সর্বশেষ মঞ্চে নাগরিকের ‘রক্ত করবী’ নাটকে অভিনয় করেন তিনি। তাঁর শেষ নির্দেশনা দেন সুবচনের ‘রূপবতী’ নাটকটি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রায় বছর তিনেক ধরে তিনি অভিনয় ও নির্দেশনা থেকে দূরে আছেন। অভিনয় থেকে দূরে সরলেও তিনি বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দেয়ার কাজ চালিয়েছেন।