দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসছে নতুন বছর। পুরাতন ভুল ত্রুটি, দুঃখ কষ্ট ভুলে নতুন দিনের জয়গান গাওয়ার মাধ্যমেই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে হয়। নিজেদের জীবন বদলাতে নতুন বছর উপলক্ষ্যে নতুন যে সব অঙ্গীকার করা উচিত তা জেনে নেওয়া যাক।
১.
কোন দরকার ব্যতীত অতিরিক্ত অর্থ খরচ থেকে বিরত থাকব – এমন হোক সবার অঙ্গীকার। অপচয় করা মোটেও ভালো কিছু নয়।
২.
নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রেখে ইন্টারনেটে সময় ব্যয় কমাব – সবার অঙ্গীকারে এই ব্যাপারটিও থাকা উচিত।
৩.
আমাদের অনেক স্বভাব হচ্ছে ফেসবুকে বন্ধুদের জীবন, পছন্দ অপছন্দ বিচার করা – যা নিঃসন্দেহে বাজে কাজ। নতুন বছরে এই বাজে কাজটি বন্ধ করা উচিত।
৪.
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে সাংসারিক এবং ব্যক্তিগত অপ্রয়োজনীয় তথ্য আপডেট বন্ধ করা উচিত। যেসব তথ্য আদতে কেউ কেয়ার করেনা সেসব তথ্য প্রচার না করাই ভালো। নতুন বছর এই অভ্যাস বর্জন করাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
৫.
পরিচিত জনদের ইমোশনাল পেইন দিতে গিয়ে অনেকেই আমরা সুস্থ থেকেও অসুস্থতার মেসেজ পাঠাই, মেইল করি। এই ব্যাপারটি খুবই নিন্দনীয় কাজ। সবাই অঙ্গীকার করি আমরা এই কাজ থেকে বিরত থাকব।
৬.
যার সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে তাঁর খোজ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে খোজ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই ব্যাপারটির কারণে সম্পর্ক বিচ্ছেদের দুঃখ ভুলতে দেয় না। সুতরাং নতুন বছরে এই বাজে অভ্যাস থেকে দূরে থাকার অঙ্গীকার করুন।
৭.
অপ্রয়োজনীয় শপিং থেকে বিরত এবং সেগুলো ডিফেন্ড করতে বাজে যুক্তি প্রদান করা থেকে বিরত থাকব – এই আমাদের নতুন বছরের আরেকটি অঙ্গীকার।
৮.
ফেসবুকে চ্যাট করার সময় অতিরিক্ত ইমোটিকনস ব্যবহার খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার অন্যের জন্য। এই ব্যাপারে সচেষ্ট থাকাই হোক নতুন বছরের অঙ্গীকার।
৯.
জিমে ব্যায়াম করা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু আমরা অধিকাংশই সপ্তাহে একবারও জিমে যাওয়া তো দূরের কথা, বছরে হয়ত কয়েকবার যাই। নতুন অঙ্গীকার হোক প্রতি সপ্তাহে এক বার করে জিমে যাওয়া।
১০.
চোখের আড়াল মানে মনের আড়াল। এই ধরনের কথা বলে কাজের বন্ধুদের থেকে দূরে সরে যাওয়া স্বার্থপরতার লক্ষণ। এই ধরনের ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকব – এই হোক নতুন বছরের অঙ্গীকার।
তথ্যসূত্রঃ বাজফিড