দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে ফাস্ট ফুড খুবই জনপ্রিয়। ফলশ্রুতিতে যেখানে সেখানেই গড়ে উঠেছে ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট। ফাস্ট ফুড যতই মজাদার এবং সুস্বাদু হোক না কেন রেস্টুরেন্টের ভেতরের অবস্থা অতটা স্বাস্থ্যকর নয়। আসুন জেনে নিই ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য যা জেনে চমকে উঠতে বাধ্য হবেন।
১.
ফাস্টফুডের বার্গারের মধ্যে যে মাংস থাকে তা রেস্টুরেন্টে রান্না করা হয় না। বরং সেটি ফ্যাক্টরি থেকে আনা হয়।
২.
ফাস্টফুডের রেস্টুরেন্টে যে মরিচ দেখা যায় সেটা অনেক সময় পুরাতন বার্গার থেকে সংগ্রহ করা হয়। অবাক হওয়ার মত ব্যাপার।
৩.
বড় আকারের একটি ম্যাকডোনাল্ডের বার্গারের সমান ক্যালরি থাকতে পারে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার সময় দেওয়া সালাদে। সুতরাং সালাদ নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
৪.
ফাস্টফুডের রেস্টুরেন্টে যে যন্ত্র থেকে পানীয় দেওয়া হয় সেটা পরিষ্কার হবে এই ব্যাপারে সবাই নিশ্চিত। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন – খোঁজ নিলেই দেখতে পাবেন সেখানে ময়লা জমে আছে।
৫.
প্রতিদিন রাতে রেস্টুরেন্টে বেঁচে যায় প্রচুর খাবার, যেগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয়। কি নিদারুণ অপচয়।
৬.
একই ব্র্যান্ডের ফাস্টফুড যদি ভাবেন সব শাখাতেই একই মানের হবে – তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। রেস্টুরেন্টের মান সচরাচর ম্যানেজমেন্টের উপর নির্ভর করে।
৭.
রেস্টুরেন্টে যারা খাবার পরিবেশন কিংবা রান্না করেন তাদের দায়িত্ব হাতে গ্লাভস ব্যবহার করা। আদতে এই নিয়ম কেউ অনুসরণ করে না।
৮.
ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট মানেই পরিষ্কার ঝকঝকে এরকম নয়। পার্কিং স্পট, রান্নাঘরে উকি দিলেই চোখে পড়তে পারে নোংরা আবর্জনা।
৯.
এক হিসাবে দেখা জানা গেছে ১৯৭০ সালে ফাস্টফুডের পেছনে খরচ হয়েছিলো ৬ বিলিয়ন ডলার, এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ বিলিয়ন ডলারে।
১০.
রেস্টুরেন্টের লেবুর সরবত খাওয়া নিয়ে সাবধান থাকুন। সচরাচর এইসব লেবু কখনও ধোঁয়া হয় না, না ধুয়েই কেটে সরবত বানানো হয়।
১১.
সচরাসচর ফাস্টফুড গুলোতে যে পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে বলে রেস্টুরেন্টের ক্যাটালগে লিখে রাখা হয় সেগুলো মিথ্যে। আদতে ক্যালরি ক্যাটালগে লেখার চেয়ে অনেক কম হয়।
১২.
রেস্টুরেন্টে থাকা সালাদের ব্যাপারেও অজানা তথ্য আছে। সবসময়েই সালাদ টাটকা থাকে না, অনেকসময় সালাদ ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয় এবং কাস্টমারের অর্ডার অনুযায়ী দুই তিনদিনের পুরাতন সালাদ দেওয়া হয়।
তথ্যসূত্রঃ লিস্ট২৫