দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এলোভেরা কিংবা ঘৃতকুমারী। এটি হৃদযন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, মুখের ঘা, পেটের পীড়া, রূপ সৌন্দর্যসহ বহু উপকারে আসে।
এলোভেরা এমন একটি গাছের পাতা যা প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস করে এই এলোভেরা পাতার নির্যাস মেশানো সরবত পান করলে কৌষ্ঠকাঠিন্যসহ বহু রোগের উপশম হয়। শরীর মন সব কিছুই ঠাণ্ডা রাখে। এই এলোভেরা পাতার নির্যাস মেশানো সরবত রাস্তাঘাটেও অনেক সময় দেখা যায়। তবে যেনো-তেনো ভাবে বানানো এসব সরবত খাওয়া মোটেও উচিত নয়। নিজে বাসায় এই এলোভেরার পাতার নির্যাস দিয়ে বানানো সরবত প্রত্যাহ খেতে পারেন।
# এলোভেরার নির্যাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে পরিমিত পরিমাণে পান করলে হৃদযন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্র সবল হয়।
# মুখে ঘা, শূল, জ্বল এবং পেটের পীড়ায় এলোভেরা নির্যাস খুবই উপকারী।
# ঠোটের কোণে কিন্বা জিব্হায় ঘা হলে এলোভেরা পাতার টুকরো ব্যবহৃত হয়। পাতার দুপাশে পাতলা স্তরটি ফেলে মুখের ভেতরে রাখলে জিব্হার ঘা সেরে যায়।
# এলোভেরার নির্যাস বের করে মুখে ম্যাসাজ করলে মুখের স্কিন সুন্দর হয় এবং লাবণ্যতা বৃদ্ধি পায়।
# জ্বর এবং পেটের পীড়া হলে এলোভেরার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হয়।
# গ্যাস্টিক, আলসার সারাতেও এলোভেরা পাতার রস খুবই উপকারী।
# প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে এলোভেরা পাতার রস সরবত করে খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে।
# এলোভেরা পাতার রস মাথা ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।
# এলোভেরা যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি ও স্কিন সুন্দর করে।
তাই বিভিন্ন আধুনিক পণ্যের বিজ্ঞাপনে এই এলোভেরার (ঘৃতকুমারী) বহুবিধ গুণের কথা বলা হয়ে থাকে। এলোভেরা যে কোন নার্সারিতে পাওয়া যায়। এটি বারান্দার টবেও আপনি লাগাতে পারেন। একটি গাছের কুশি থেকেই আরেকটি গাছের জন্ম হয়।