দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাবিশ্বের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি বিষয়ক একটি বহুল প্রচলিত ধারণা ব্ল্যাক হোল। ব্ল্যাক হোল এত ঘন সন্নিবিষ্ট অবস্থায়, এর ভর এত বেশি যে, এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুইকেই ভেতর থেকে বের হতে দেয় না। আলো, তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গও ব্ল্যাক হোল থেকে বের হতে পারে না। এখন পর্যন্ত ব্লাকহোলের কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি স্টিফেন হকিং ব্ল্যাক হোল না থাকার বিষয়ে বক্তব্য দিলেন।
ব্ল্যাক হোল বাংলায় কৃষ্ণ বিবর বা কালো গহবর বলা হয়। জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি অনুসারে, কৃষ্ণ বিবর মহাকাশের এমন একটি বিশেষ স্থান যেখান থেকে কোন কিছু, এমনকি আলো পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারে না। এটা তৈরি হয় খুবই বেশী পরিমাণ ঘনত্ব বিশিষ্ট ভর থেকে। কোন অল্প স্থানে খুব বেশি পরিমাণ ভর একত্র হলে সেটা আর স্বাভাবিক অবস্থায় থাকতে পারে না। আমরা মহাবিশকে একটি সমতল পৃষ্ঠে কল্পনা করি। মহাবিশ্বকে চিন্তা করুন একটি বিশাল কাপড়ের টুকরো হিসেবে এবং তারপর যদি আপনি কাপড়ের উপর কোন কোন স্থানে কিছু ভারী বস্তু রাখেন তাহলে কি দেখবেন? যেইসব স্থানে ভারি বস্তু রয়েছে সেইসব স্থানের কাপড় একটু নিচু হয়ে গিয়েছে। এই একই ব্যাপারটি ঘটে মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে। যেসব স্থানে ভর পরিমাণ বেশি সেইসব স্থানে গর্ত হয়ে আছে বলে মনে হয়।
গত ৪৯ বছর ধরে ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব ধরে নিয়েই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সামনে এগিয়েছেন। স্টিফেন হকিং ব্ল্যাক হোল ধারণা নাকচ করে বরং ঐ বিশেষ স্থানগুলোর ব্যাখ্যা দিলেন নতুন ভাবে। ঘটনা দিগন্ত বিষয়ে আলোকপাত করেন যা আপাততভাবে বস্তু এবং শক্তি মহাকাশে অবমুক্ত হতে দেয় না।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল, উইকিপিডিয়া
This post was last modified on মে ১৮, ২০১৫ 11:02 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মূলত এই ছবিটি একটি হাতে আঁকা কার্টুন। তবে গল্পটি বহুপুরনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবন-যাপনে কিছু নিয়ম করে চলা উচিত। কারণ নিয়ম করে না…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনলাইনে যে কোনো অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজন হয় পাসওয়ার্ড।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৪৪তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা নিয়ে আলোচনায়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক টাইটানিক জাহাজ ট্রাজেডির…
View Comments
তাহলে যেগুলোকে ব্ল্যাক হোল বলে ধারনা করা হয়েছে এতদিন সেগুলো আসলে কি ?
nic
হকিংসের মন্তব্যটা লেখা হলো কিন্তু ব্যাখ্যাটা লেখা হলো না।। তিনিতো তার এ্ই সিদ্ধান্তে আসার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ নিউজ পড়ে পাঠক আসলে কি বুঝলো? হকিংস বলেছে বলেই ব্লাক হোল নাই? ব্যাখ্যা ছাড়া এ ধরণের বিষয়ের কিছু কি বোঝাা সম্ভব?