দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুধু যে বাংলাদেশ ভোগ করছে তা নয়, এর প্রভাব বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। সমপ্রতি জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির শিকার হচ্ছে আর্জেন্টিনার পুন্টা টোম্বো উপদ্বীপের পেঙ্গুইন ছানারা।
বাংলাদেশে সামপ্রতিক সময়ে জলবায়ুর প্রভাবে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অসময়ে বৃষ্টি, শীতের সময় শীত না পড়া, শীতের সময় বৃষ্টি হওয়া এমন নানা ধরনের ঋতু পরিবর্তন ঘটে এদেশের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক এসব পরিবর্তনের কথাও উল্লেখ করেছে। প্রভাবশালী দেশগুলো ক্ষতিপূরণের অঙ্গীকার করলেও বাস্তবে কতখানি সেই ক্ষতিপূরণ হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
জানা যায়, অতিবৃষ্টি, অসহনীয় তাপমাত্রা ও অন্যান্য প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে আর্জেন্টিনার পুন্টা টোম্বো উপদ্বীপে অঞ্চলে জন্ম নেয়া পেঙ্গুইন ছানারা অনবরত মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। সমপ্রতি এক গবেষণার উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যম বলেছে, অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং তীব্র তাপমাত্রার কারণে অল্পবয়সী পেঙ্গুইনরা একেবারেই টিকতে পারছে না। মেগালানিক এক ধরণের পেঙ্গুইনদের সবচেয়ে বৃহৎ বসতি হচ্ছে টোম্বোয়। প্রায় ২৭ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ চালান হয় এখানে। গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রথম ছাপে ‘প্লোস ওয়ান’ সাময়িকী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর আর্জেন্টিনার পুন্টা টোম্বো অঞ্চলে ২ লাখ পেঙ্গুইন বাসা বাঁধে। সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তারা সেখানে বাচ্চা ফুটায়। কিন্তু প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের কারণে সেখানে জন্ম নেয়া পেঙ্গুইনরা দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়ছে। বাচ্চা পেঙ্গুইনগুলো এমন একটি সময় পার করছে, যখন তারা বাবা-মা’র আশ্রয়ে থাকতে পারে না -আবার রোদ/বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো পর্যাপ্ত পালকও তাদের শরীরে গজায় না। আর এ কারণেই ওই সময়টিতে তারা অতিবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জানা যায়, বৃষ্টির সময় বাবা-মা’কে কাছে না পেলে পেঙ্গু্ইন বাচ্চারা বেশি মারা যায়। গবেষণার টোম্বো অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন পেঙ্গুইনদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বলে ওই গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। অথচ কার্যকর কোন ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে না। সম্মেলন আর মহা সম্মেনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে সকল কর্মসূচি। এখন সময় এসেছে এসব বিষয়গুলো ভেবে দেখার। বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো বারংবার এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকা রাখলেও ফলত কোন কাজ হচ্ছে না। জীব-বৈচিত্র্য ও পরিবেশের নানা ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ১, ২০১৪ 4:17 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…