দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সন্তানের জীবনে বাবা-মা’র ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারাই সন্তানের প্রথম ও প্রধান শিক্ষক। সন্তানের আচরণে বাবা-মা’র আচরণ আয়নার মতো প্রতিফলিত হয়।
# স্কুলে যাওয়ার জন্য সন্তানকে আগ্রহী করা। শিশুকাল থেকে স্কুলের ইতিবাচক দিক নিয়ে আগ্রহ তৈরি করতে হবে এবং স্কুলের প্রতি ভালবাসা তৈরি করতে হবে।
# স্কুলে সন্তানকে পাঠিয়ে বাবা-মা’র দায়িত্ব শেষ নয় বরং শুরু। স্কুলের ক্লাস টিচারের সাথে আপনার সু-সম্পর্ক রাখতে হবে। সন্তানদের পড়া-শোনার প্রতি আগ্রহ, বিভিন্ন সমস্যা এবং এর সমাধান নিতে ক্লাস টিচারের সাথে আলোচনা আপনাকে সাহায্য করবে।
# আপনার সন্তানকে অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীকে এবং স্কুলের বিভিন্ন কর্মচারির সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করুন এবং আপনিও কিছুটা সময় তাদের সাথে কাটান।
# সন্তানকে তার নিজের কাজ নিজে করতে অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে আপনার সন্তান স্বনির্ভর হতে শিখবে।
১. আপনি আপনার সন্তানকে হোম ওয়ার্ক করতে সাহায্য করুন। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে সন্তানকে নিয়ে পড়তে বসান।
২. আপনি আপনার সন্তানকে পড়ানোর সময় টিভি দেখা, ফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার করা প্রভৃতি থেকে দূরে রাখুন। এগুলো আপনার সন্তানের পড়া-শুনার সময় বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে যা সন্তানকে অমনোযাগী করে তোলে।
৩. সন্তানের হোম ওয়ার্ক বা প্রজেক্ট ওয়ার্ক নিজে করতে সমস্যা হলে আপনি এই বিষয়ে যে ভালো জানেন তার সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না।
# পড়া-শুনার পাশাপাশি সন্তানকে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কাজ-কর্মে আগ্রহী করে তুলুন। সন্তান ও বিষয়ে বেশি আগ্রহী বা শিখতে পছন্দ করে তা শিখতে সাহায্য করুন।
# সন্তানকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করুন। স্কুলে বিভিন্ন ধরনের ভলেনটারি কর্ম-কাণ্ড থাকে তাতে অংশগ্রহণে সন্তানকে আগ্রহী করে তুলুন। এতে সন্তানের মধ্যে দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হবে।
# সন্তানকে পাঠ্যবই ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়তে আগ্রহী করে তুলুন এতে সন্তানের জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে জানার ইচ্ছা তৈরি হবে।
# অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সন্তান কি বই পড়ছে। টিভিতে কি দেখছে এবং ইন্টারনেটে কি কাজ করতে। সন্তানকে এইগুলো ব্যবহারে নিষেধ না করে একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন।
# আজকাল সন্তানের টিভি দেখা এবং গেম খেলা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সমস্যা কমাতে ঘরে-বাইরের বিভিন্ন কাজকর্মে আপনার সাথে আপনার সন্তানকে সঙ্গী হিসেবে নিতে পারেন।
# সন্তানের সাথে বন্ধুত্বসূলভ আচরণ করুন। কিছুটা সময় তার সাথে গল্প করে সময় কাটান। আপনার সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার সন্তানও তার সমস্যা এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
# পরিবারের কোন সিদ্ধান্তে সন্তানের মতামত জানতে চান, সন্তানের মতামত সবসময় গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। কেনো গ্রহণযোগ্য নয় সে বিষয় নিয়ে সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। এতে সন্তানের আপনার প্রতি শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাবে।
# সন্তানের পছন্দ অপছন্দ ও মতামতের গুরুত্ব দিলে সন্তানের মেধা বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। সে পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে ভাবতে শিখে। সে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে। যার প্রতিফলন হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কাজকর্মে প্রকাশও পায়।
এভাবেই সন্তানের সব বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে চলতে হবে। তাহলে আপনার সন্তান একজন সুশিক্ষিত ও জ্ঞানি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ৯, ২০১৪ 2:36 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিডিও ভাইরাল করতে গিয়ে এক যুবক দেশলাই জ্বালিয়ে পেট্রোলের উপর…