দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের রণতরী এই প্রথমবারের মত মার্কিন নৌবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে আমেরিকার সমুদ্র সীমার খুব কাছাকাছি অবস্থানে এগিয়ে গিয়ে।
ইরানের এই রণতরী বহরে আছে বিধ্বংসী কামান সমৃদ্ধ যুদ্ধজাহাজ এবং হেলিকপ্টারবাহী বিশেষ জাহাজ। ইরানের এসব নৌবহর গত মাসেই ইরানের সমুদ্র বন্দর ছেড়ে আসে। এসব জাহাজকে মার্কিন জলসীমার খুব কাছাকাছি অবস্থান করার ৩ মাসের মিশনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইরানের এই আগ্রাসী ভূমিকার পেছনে মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো নিয়মিত নৌমহড়ার আয়োজনের প্রতিবাদ হিসেবে। ইরান সর্বপ্রথম ২০১২ সালের দিকে মার্কিন প্রশাসনকে সাবধাণ করে দিয়ে তাদের জলসীমা ত্যাগ করে যেতে বলে। কিন্তু আমেরিকা এবং মিত্ররা সেই বার্তার কোন তোয়াক্কা না করেই পারস্য উপসাগরে নিয়মিত নৌমহড়ার আয়োজন করে আসছে।
পারস্য উপসাগরে মার্কিন নৌমহড়ার বিষয়ে আমেরিকার যুক্তি হচ্ছে, যেহেতু এই নৌ পথে সারাবিশ্বের জন্য প্রয়োজনীয় তেল সরবরাহ হয়ে থাকে ফলে এই পথের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের এখানে অবস্থান নিয়ে নিয়মিত নৌমহড়া দেয়া জরুরি।
ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় নৌবহরের কমান্ডার এডমিরাল হাদ্দাদ জানিয়েছেন,”ইরানের রণতরীর এই নৌবহর ৩০ জন বিশেষ প্রশিক্ষিত নৌ ক্যাডেট এবং জাহাজের নাবিকদের নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার নিকটবর্তী আটলান্টিক মহাসাগরীয় জলসীমা দিয়ে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমার কাছে গিয়ে অবস্থান নেবে। তবে তিনি উক্ত স্থানে অবস্থান নেয়ার পর পরবর্তী করণীয় কি হবে সে বিষয়ে কিছুই জানাননি।
এদিকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা নিজেদের সমুদ্র সীমার কাছে ইরানি নৌ বহরের অবস্থানের বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইরান যদি আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমায় অবস্থান নেয় রণতরী নিয়ে তাহলে তাঁরা তা করতেই পারে এখানে মার্কিন কোন হস্তক্ষেপ হবেনা।
সূত্রঃ দিডেইলিমেইল