দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ পুরুষ বা মহিলা উভয়ের জন্যই মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ রোগ। গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ, জন্মনিয়ন্ত্রণ, মাইগ্রেন কিংবা বিষণ্ণতার কারণে মহিলাদের স্ট্রোক আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বেশি। সম্প্রতি আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন মহিলাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাসে ৬টি গাইডলাইন দিয়েছেন – আসুন সেগুলো জেনে নিই।
সাধারণত স্ট্রোক থেকে বাঁচতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, সিগারেট পরিত্যাগ কিংবা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করলেই হয়। কিন্তু মহিলাদের শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার আলাদা হওয়ায় তাদের করণীয় কাজ কিছুটা ভিন্ন। সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো যাতে আমাদের প্রিয়জনদের এই ব্যাপারে সচেতন করে তোলা সম্ভব হয়।
১) জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণঃ যারা নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করেন তাদের অবশ্যই সেবনের পূর্বে উচ্চ রক্তচাপ পরিমাপ করতে হবে। কেননা এর প্বার্শপ্রতিক্রিয়ায় স্ট্রোকের ঝুকি বৃদ্ধি পায়। এই ঝুকি যদিও কম কিন্তু ৪৫-৪৯ বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
২)গর্ভাবস্থাঃ এই অবস্থায় মহিলাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি কিছুটা কম কিন্তু গর্ভধারণের সর্বশেষ তিন মাস এবং বাচ্চা প্রসবের পর থেকে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে থাকে। তবে গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বা প্রি-একলামশিয়া থাকে তাদের স্বাভাবিক সন্তান জন্মদানে সন্তান না হয়ে সিজারে হতে পারে। এই অবস্থায় সাবধানতা অবলম্বণ করা জরুরি।
৩)অ্যাসপিরিনঃ মহিলারা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অ্যাসপিরিন গ্রহণ করতে পারে। অল্প পরিমাণ অ্যাসপিরিন গ্রহণ রক্তচাপ কমিয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে। ৬৫ বছর বয়সীদের জন্য এটি বেশি কার্যকর।
৪)মাইগ্রেনঃ হরমোনজনিত কারণে মহিলাদের ছেলেদের চেয়ে চারবার বেশি মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাইগ্রেন যদিও একই সাথে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় না, এক্ষেত্রে ধুমপান এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণের সাথে ঝুঁকি বেড়ে যায়। সুতরাং এইসব ক্ষেত্রে ধুমপান পরিত্যাগসহ সাবধানতা অবলম্বণ জরুরি।
৫)অনিয়মিত হার্টবিটঃ যে সব মহিলার বয়স ৭৫ বছরের বেশি তাদের হার্টবিট চেক বা পালস চেকের মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি চিহিন্ত করে যথাযথ চিকিত্সা করতে হবে।
৬)মেনোপজঃ মধ্যবয়সীদের এই অবস্থায় হরমোন থেরাপি গ্রহণ করলে ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে থেরাপি গ্রহণ না করাই ভালো।
স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকা মহিলা ও পুরুষদের শারীরিক স্থিতিশীলতা পর্যবেক্ষণে এটা স্পষ্ট যে মহিলাদের শারিরীক কিছু ব্যাপারের জন্য আলাদাভাবে সচেতন হওয়া জরুরি এবং এইসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় করণীয় সম্পন্ন করে সুস্থ জীবন গঠণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তথ্যসূত্রঃ নিউজসম্যাক্সহেলথ
This post was last modified on জানুয়ারী ২০, ২০২২ 4:44 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই বছরের জুন মাসে শেষ হচ্ছে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সার্ভিস…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহ আবদুল করিম এবং হাসন রাজার ভাটির দেশ থেকে ইট-পাথরের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখে নিজেদের দিকে তাকালে ‘লজ্জা’ পান বলে…