দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) সম্প্রতি সাংবাদিকতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশ হলো ষষ্ঠ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। যা নিঃসন্দেহে হতাশাব্যঞ্জক।
সিপিজে’র মতে, ইসলামপন্থী আর ধর্ম নিরপেক্ষ দের সংঘাতের ফলে মুক্ত সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকেরা উভয় পক্ষের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। ব্লগারেরা ক্রমাগত আক্রমণ আর সরকারি নিপীড়নের শিকার হয়েছে। লেখালেখির কারণে হামলায় ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন আহত আর ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার নিহত হয়।
এটি আরো উল্লেখ করে, মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালীন সময়ে এর পক্ষে বিপক্ষে সারা দেশে বিক্ষোভ চলে। একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের শাস্তি প্রদানের প্রেক্ষিতে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠে।
অপর দিকে ইসলামপন্থীরা ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে ব্লগারদের ফাঁসি দাবি করে। এই সময়ে এপ্রিলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার দায়ে চার ব্লগারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের অভিমত, যেসব সাংবাদিক শাহবাগ আর ইসলামী বিক্ষোভ এর খবর সংগ্রহে গিয়েছিল উভয় ক্ষেত্রেই তারা লাঞ্ছিত নতুবা শারীরিক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এর উদাহারণ হিসেবে একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক নাদিয়া শারমিনের ইসলামী বিক্ষোভের খবর সংগ্রহের সময় আক্রমণের শিকার হওয়াকে তুলে ধরেছে।
এছাড়া আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ, এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়। আওয়ামীলীগ সরকারের চারটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল বন্ধ রাখার ঘটনায় আলোকপাত করা হয়।
সিপিজি’র তৈরি করা সাংবাদিকতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকাটিতে শীর্ষে রয়েছে মিসর। বাকি দেশগুলো হলো : রাশিয়া, সিরিয়া, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, লাইবেরিয়া, ইকুয়েডর ও জাম্বিয়া্।
গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা নিরাপদে তাদের দায়িত্ব পালন করবে এটাই কাম্য। তাই পরবর্তী বছরগুলোতে আমরা নিজেদেরকে সিপিজে’র এই তালিকায় দেখতে চাই না।
সুত্রঃ CPJ