দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিরান্ডা বারবার নামের এক কিশোরী শয়তানের কালো জাদুর বিশ্বাস চর্চা করতে যেয়ে একে একে হত্যা করেছে ২৩ জন মানুষকে। সর্বশেষ খুনের মামলায় ধরা পরার পরে তিনি নিজেই সিরিয়াল খুনের কথা স্বীকার করেছেন।
মিরান্ডা বারবার মানুষ হত্যা শুরু করেন নিজের ১৩ বছর বয়স থেকেই। সে সময় তিনি আলাস্কায় একটি শয়তানের উপাসনালয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তার দ্বারা সংগঠিত হওয়া বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড আলাস্কাতে হলেও, সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে সে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে। সর্বশেষ টেক্সাস, উত্তর ক্যারোলিনা এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় তিনি তিন জন মানুষকে হত্যা করেছেন।
এদিকে মিরান্ডা বারবার জেল গেটে The Daily Item সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের সিরিয়াল হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানায়। মিরান্ডা বারবার বলেন, “আমি প্রথম হত্যা করি আমার ১৩ বছর বয়সে যখন আমি একটি উপাসনালয়ে নিয়মিত যেতাম এবং তাদের নৈতিক আদর্শ নিজের মাঝে ধারন করলাম। আমি মনে করি আমি যেসব হত্যা করেছি সব-গুলোই খারাপ মানুষকে হত্যা করেছি ফলে এখানে কোন দোষ করিনি।”
মিরান্ডা বারবার আরও বলেন, “আমি জানি আমার জেল হবে, তবে আমি জেল থেকে যদি মুক্তি পাই আমি আরও হত্যা করবো।”
মিরান্ডা বারবার এর মায়ের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মিরান্ডা বারবার ৪ বছর বয়সে নিজের চাচার দ্বারা যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিল। সেই থেকে মিরান্ডা বারবারর মাঝে একটি পরিবর্তন আসে।”
মিরান্ডা বারবার প্রথম দিকে কিছু খুন করার পরে নিজে বিয়ে করেন এলিট বারবার কে। পরবর্তীতে স্বামীর সহায়তায় আরও অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেন। মিরান্ডা ও এলিট বারবার বিভিন্ন ভাবে মানুষদের টোপ দিয়ে দেখতেন তাদের চরিত্র কেমন এবং যদি ঐ সব মানুষ চারিত্রিক ভাবে অসৎ হয়ে থাকে, তবে তাঁরা ঐ সব মানুষকে হত্যার মিশনে নামতেন। এক্ষেত্রে সেক্স এন-কাউন্টার হিসেবে টোপ দিয়ে মানুষকে আকর্ষিত করতেন মিরান্ডা বারবার।
আমেরিকার পুলিশ এবং এফবিআইমিরান্ডা বারবার’কে এসব হত্যায় প্ররোচিত করার মূল হোতা সেই শয়তানের উপাসনালয়ে’র দলনেতাদের খুঁজে বার করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সূত্রঃ Mashable
ধন্যবাদান্তেঃ Independent