দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধর্মকে কটাক্ষ করায় স্কুল শিক্ষক ও পত্রিকা সম্পাদককে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়।
দণ্ডিত এসএম তিতুমীর ঋষভ তিতুমীর গোদাগাড়ীর পিরিজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ‘খেয়া’ নামের অনুমোদনহীন একটি দ্বি-মাসিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এই দণ্ড দেন। কারাদণ্ড হওয়ার পর তার কর্মস্থল স্কুলের চাকরি থেকে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আবু মোকাদ্দেম আলী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এসএম তিতুমীর ঋষভ সম্পাদিত গোদাগাড়ীর সাহিত্যধারা সংগঠনের উদ্যোগে ‘খেয়া’ নামের একটি অনুমোনহীন পত্রিকায় বসন্ত ১৪২০ সংখ্যায় মুসলিম ও হিন্দু ধর্মকে অবমাননা করে ‘আব্বাকে লেখা আমার দ্বিতীয় কবিতা’ নামে একটি কবিতা প্রকাশিত হয়।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদ চত্বরে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বই মেলার স্টলে ওই পত্রিকাটি বিক্রি হওয়ার পর কবিতাটি পাঠকদের নজরে আসে। পরদিন শনিবার সকালে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীরা তার কর্মস্থল পিরিজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও ঘেরাও করে।
এ বিক্ষোভের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ খালিদ হোসেন ঘটনাস্থলে যান এবং এসএম তিতুমীর ঋষভকে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে পত্রিকাটির প্রকাশনাও বন্ধ ঘোষণা করেন।
এরপর গোদাগাড়ী থানা পুলিশ স্কুলের একটি কক্ষ থেকে এসএম তিতুমীর ঋষভকে গ্রেফতার করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ খালিদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, নওসাদ নিখিল নামের কথিত এক ব্যক্তির নামে ‘খেয়া’ পত্রিকায় ওই কথিত কবিতাটি প্রকাশ করা হয়। এতে মুসলিম ও হিন্দু ধর্মকে কটাক্ষ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সন্ধ্যায় তার দপ্তরে বসানো ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিতুমীর তার দোষ স্বীকার করার পর তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ড দেওয়ার এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শহরে উত্তেজনা প্রশমিত হয় বলে স্থানীয় সাংবাদিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।