দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চর্মরোগ মানব দেহের একটি দীর্ঘস্থায়ি ও বড় সমস্যা। এরোগ হলে সহজে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় না। এই চর্মরোগ কি কি কারণে হতে পারে সে বিষয়ে জানার জন্যই আমাদের আজকের স্বাস্থ্য বিভাগের এই আয়োজন।
চর্মরোগের কারণগুলোতে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যথা অভ্যন্তরীণ ও পারিপার্শ্বিক। তবে মনে রাখতে হবে অভ্যন্তরীণ বিকৃতি থেকে যেমন চর্মরোগ সৃষ্টি হতে পারে ঠিক তেমনি চর্মরোগ থেকেও অভ্যন্তরীণ বিকৃতি হতে পারে। তাই চর্মরোগের কারণসমূহকে নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
পারিপার্শ্বিক কারণ:
# যান্ত্রিক শক্তি যেমন: কোন চাপ, ঘর্ষণ, ত্বকের গায়ে ক্ষত বা ঘা সৃষ্টি করে এবং সেই সাথে রোগের জীবাণু দেহে প্রবেশ করে যা থেকে পায়োডার্মা, ক্যানডিভিয়াসিস, এপিডার্মোফাইটোসিস ইত্যাদি রোগের সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
রাসায়নিক উপাদান:
ক. শক্তিশালী অম্ল বা ক্ষার, যৌবদ্রব্য। পেট্রোলিয়াম ও কয়লাজাত দ্রব্য।
খ. সেবনযোগ্য ও শরীরে লাগানো নানাবিধ ঔষধ যেমন: সালফোনামাইড ইত্যাদি।
গ. এলার্জি সৃষ্টিকারী নানা রাসায়নিক দ্রব্য যেমন: তারপিন, পারদ, নিকেল।
# শক্তিগত উচ্চ বা নিম্ন তাপমাত্রায় ফ্রষ্টব্রাইট বা চিলবোলেইন্স হওয়া নানা ধরনের আলোতে যেমন সূর্যের আলো, এক্সরে, তেজষ্ক্রিয় রশ্মি ইত্যাদি থেকে নানা ধরনের প্রদাহ বা ডারমাটাইসিস একজিমা ক্যান্সার হয়।
# জীবাণু যেমন: স্ট্রেপটোকক্কাস, যক্ষ্মা ও কুষ্ঠের জীবাণু চর্মের নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি করে।
# প্রাণীজাতীয় পরজীবি উকুন ফ্লি, সারপোকা, মশা টিক্স নানা ধরনের চর্মরোগের জীবাণু ছড়ায়।
# ছত্রাক টাইকোফাইটেসিস, মাইকোস্পেরিয়া, ফেবাস রোগের যে কুকুরের ক্ষেত্রে কৃত্রিমভাবে নিউরোসিস সৃষ্টি করতে পারলে চর্মরোগ দেখা দেয়। আবার নিউরোসিস নিরাময় হলে চর্মরোগ ভালো হয়ে যায়। এর থেকে স্পষ্ট বলা যায়, মানষিক ও স্নায়ু এবং স্নায়ুতন্ত্রের অতিরিক্ত শ্রম বহু চর্মরোগের সৃষ্টি করে।
# বিপাক, বিকৃতি যথা বহুমুত্র (ডায়াবেটিস) ও শর্করা জাতীয় খাদ্য সঠিকভাবে বিপাচিত হয় না এবং সেক্ষেত্রে থাস-ফোড়া ইত্যাদি রোগ হতে দেখা যায়।
# ভিটামিনের অভাবজনিত শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব হলে স্কার্ভি রোগ হয়। ফলে ত্বকে লাল দাগ দেখা যায়। ভিটামিন এ’র অভাবে চর্মের উপরের স্তরে গঠন বিকৃতি ঘটে থাকে। তাছাড়া পেলাগ্রা নামক রোগও ভিটামিন পিপি এর অভাবে হয়ে থাকে।
উপরোক্ত ভিটামিনগুলো শরীরে যাতে শূন্যতা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সকলকেই খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়াও শরীরের ও ত্বকের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়াও একান্ত দরকার। এসব বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তবেই আপনি এই চর্মরোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন। তবে সমস্যা যখন প্রকট আকার ধারণ করে তখন অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।