দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিষন্নতার কারণে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যায়। খুব সাধারণ কিছু বিষয়ও তখন আমাদের মাথায় আসে না। এই বিষন্নতা নিয়েই আমাদের আজকের প্রতিবেদন।
আমাদের দৈনন্দিত কাজ করার মতো বিষয়গুলো ঠিক-ঠাক মতো মনে পড়লে আমরা ভুলে যাওয়ার জন্য কষ্ট পায়না। সব প্রয়োজনীয় জিনিসও কি আমরা মনে রাখি? আজকে কত তারিখ কি বার জিজ্ঞেস করলে আমরা ঘড়ির দিকে তাকায়। যদিও এটি মনে রাখা আমাদের জন্য জরুরি। আমরা প্রত্যেকে প্রতিদিন চাবিটা, ফাইলটা বা প্রয়োজনীয় একটা জিনিস খুঁজতে কিছু সময় অপচয় করি। এতে আমরা কিছু মনে করি না। অধিকাংশ সময় আমরা আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা সত্বেও ভালো থাকি। যেমন: আমরা এক মাইল দূরে একটা জিনিসপত্র দেখতে পায়না। পতঙ্গের পাখার শব্দও শুনতে পায়না।
আমরা অতীতের অনেক কিছু ভুলে যায়। কিন্তু কিছু কিছু সময় আসে যখন আমরা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভুলে যায়। এই বেশি ভুলে যাওয়া আমাদের চিন্তিত করে ফেলে- বিষন্ন করে। আমরা চিন্তিত বা বিষন্নতা থাকলে বেশি বেশি ভুলে যায়।
আমরা যখন বিষন্ন থাকি তখন আমরা সবকিছুই মন্দ দিকটা দেখি, নিজের এবং পৃথিবীর সবকিছুই তখন আমরা নিজের স্বাভাবিক তুচ্ছ মানসিক অক্ষমতার জন্য নিজেকে বড় বেশি দোষি মনে করি।
বিষন্ন যখন গভীর হয় তখন চিন্তার গতি খুব ধীর হয়ে যায়। আমরা নিজের মধ্যে নিজেদের গুটিয়ে নেই। তখন চারিদিকে কি হচ্ছে তা খেয়াল করি না। আর সেইজন্য আমরা তা ভুলে যায়। কারণ আমরাতো তা গুরুত্ব দিয়েই দেখিনা।
যারা নিষন্নতায় ভুগছেন, তাদের মধ্যে অস্থিরতা থাকে অনেক সময়। ফলে কোন কিছুতেই মনোসংযোগ করতে পারে না। অস্থিরতা ও চিন্তার ধীরগতি উভয়ই বিষন্ন ব্যক্তির মনে রাখার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
বিষন্নতা মাঝে মাঝে স্মৃতিশক্তিকে এতোটাই কমিয়ে দেয় যে, লোকে তাকে স্মৃতিভ্রষ্ঠতা ডিমেনসিয়া বলে ভুল করে। এজন্য বিষন্নতা এই ভুলে যাওয়াকে ছদ্ম স্মৃতিধ্বংস বলে।
মানসিক পরীক্ষার মাধ্যমে বিষন্নতা, ভুলে যাওয়া ও স্মৃতিধ্বংসের ভুলে যাওয়ার মধ্যে তফাত নির্ণয় করা যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে ক্রোধ ব্যক্তি ভুলে যাওয়ার কারণই হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষন্নতা কিন্তু স্মৃতিধ্বংস নয়।
কোন বিষয়ে আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকলে অন্যকিছুতে মন বসাতে পারি না। এরকম দেখা যায় পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকার দিতে গেলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর ও মনের সব ধরনের দক্ষতা কমতে থাকে। মনে রাখার দক্ষতাও কমে। সেই কারণে বেশি বয়সে আমরা নতুন কিছু শিখতে পারি না। যদিও তা অসম্ভব নয়। একে বলে বয়সের সঙ্গে ভুলে যাওয়া বা এইজ এসোসিয়েটেড মেমোরি ইমপেয়ারমেন্ট।
বয়সের সাথে সাথে যে ধরনের স্মৃতির সমস্যা দেখা দেয়। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মগজে রাখা বেশি তথ্যের পরিমাণও বাড়তে থাকে। দিনে দিনে সঞ্চিত এসব তথ্য থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বের করতে বেশি সময় লাগবে।
মানসিক বিষয় যা ভুলো যাওয়ার কারণ ঘটাতে পারে তারমধ্যে আছে:
# এক ঘেয়েমি
# ক্লান্তি
# ঘুম ঘুম ভাব ইত্যাদি
# শারীরিক অসুস্থতা
# কানে কম শোনা
# চোখে কম দেখতে পাওয়া
# শরীরে যে কোন স্থানে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা
# মাথায় আঘাত পাওয়া
# এ্যালকহল
# ও ঘুমের ওষুধ সেবন মনে রাখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়াও আরও কিছু শরীরিক অসুস্থতা আছে যা স্মরণশক্তি কমিয়ে দেয়। হার্ট ও ফুসফুসে বড় ধরনের অসুস্থতার কারণ এক্ষেত্রে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সঞ্চালন কমে যায়। তাই এসব বিষয়গুলো সকলকেই মনে রাখতে হবে।
This post was last modified on জানুয়ারী ২০, ২০২২ 3:50 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনলাইনে যে কোনো অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজন হয় পাসওয়ার্ড।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৪৪তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা নিয়ে আলোচনায়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক টাইটানিক জাহাজ ট্রাজেডির…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ১লা মে, মহান মে দিবস। বঞ্চনা, নির্যাতন ও বৈষম্যের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক অফিসেই এসির ব্যবস্থা থাকে না। এসি না থাকলেও কাজ…
View Comments
ami ai bisonnotar shikar :-( . er theke mukti paoar upai ta jodi bolten tahole onek upokrito hotam