দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জেএমবি সদস্যকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরুস্কার ঘোষণা করা হলেও এখনও তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে ধৃত আসামীদের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। জেএমবি সদস্য সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
কিন্তু এসব দুর্ধর্ষ আসামীদের গোয়েন্দা পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। সম্ভাব্য সবখানেই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে গোয়েন্দারা বলছেন, যেখানেই থাকুক না কেনো ধরা পড়তেই হবে। গোয়েন্দা সূত্র বলেছে, সবখানেই তাদের জাল ফেলানো রয়েছে।
অপরদিকে ধৃত ড্রাইভার জাকির ও অপর একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। তাদের কাছে পুলিশ বেশ কিছু তথ্যও পেয়েছে। তবে সেগুলো যাচাই করে এগুতে হচ্ছে। কারণ তারা এক এক সময় এক এক রকম তথ্য দিচ্ছে। সেগুলো কতখানি বিশ্বাসযোগ্য তা যাচাই করেই এগুতে হচ্ছে গোয়েন্দাদের। তবে তদন্তের স্বার্থে গোয়েন্দারা এখনও খোলাখুলি কিছুই বলছেন না।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহের আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ত্রিশালে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে বোমা হামলা ও গুলি চালিয়ে ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় আতিক নামে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত ও ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে ৩ আসামীর এক জনকে গ্রেফতার করা হলে পরে সে ‘বন্দুক যুদ্ধে’ নিহত হয়। বাকি ২ আসামী এখনও পলাতক।