মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক বিজ্ঞানী তৈরি করলো পারমাণবিক চুল্লী [ভিডিও]

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ ১৩ বছরের কিশোর জেমি এডওয়ার্ডস বানালো নিউক্লিয়ার রিয়েক্টর। শুনলে আশ্চর্য লাগতে পারে, কিন্তু এটাই হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের এক স্কুলে এমনটাই ঘটেছে জেমির ক্ষেত্রে। আসুন সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।


Jamie Edward

যুক্তরাজ্যের ক্ষুদে পরমাণু বিজ্ঞানী বলতে এখন এক নামে সবাই ১৩ বছর বয়সী জেমি এডওয়ার্ডসকে চেনে। নিজের অধ্যবসায়, শ্রম, আন্তরিক ইচ্ছা এবং স্কুলের সহায়তায় জেমি বানিয়েছে পারমাণবিক চুল্লী, যা এই বয়সী একজনের জন্য একটি আশ্চর্যজনক ঘটনাও বটে। কিন্তু সেটিই সম্ভব হয়েছে  জেমি এডওয়ার্ডসের পক্ষে। যে বয়সে অন্যেরা ভিডিও গেমস বা খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে, সে বয়সে স্কুল সময়ের পরে এডওয়ার্ড বসে থাকতো পারমাণবিক চুল্লী বানাতে।

Jamie at School

এর আগের বছর এডওয়ার্ড তার স্কুলে একটি প্রদর্শনী করে, যাতে দেখানো হয় যে সে রিয়েক্টর বানাতে পারবে। এটি দেখে এগিয়ে আসে পেনওয়ার্থ প্রায়োরিটি একাডেমী এবং তাকে তার প্রজেক্টের জন্য ৩৩৫০ ডলারের একটি বাজেট প্রদান করে। আর তা পেয়েই জেমি তার কাজে নামে এবং কাজে সাফল্য দেখায়। তবে অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, এতো টাকা কয়টি স্কুল এমন বাজেট হিসাবে দেবার সামর্থ্য রাখে। জেমির আগে এই রেকর্ড যে করেছিলো তার বয়স ছিলো ১৪ বছর, নাম টেইলর উইলসন, সে তার বাবার গ্যারাজে বসে এ রিয়েক্টর বানিয়েছিলো। সে মনে করতো এই রিয়েক্টরই আমাদের ভবিষ্যৎ শক্তির মূল সমাধান এবং শিশুরাও পারে বিজ্ঞান জগতে পরিবর্তন আনতে। টেইলর উইলসন সম্পর্কে আরো জানতে এখানে দেখুন

সাধারণত পারমাণবিক চুল্লী বানাতে অনেকগুলো জিনিস লাগে। এর মধ্যে এডওয়ার্ড একটি ভ্যাকুয়াম চেম্বার, একটি ভ্যাকুয়াম পাইপ, কিছু তার, একটি এলুমিনিয়ামের রড এবং কিছু ভাল্ব ব্যবহার করেছিলো।

Related Post

পারমাণবিক চুল্লী তৈরির এ কাজে সবচেয়ে জটিল অংশ ছিলো ভ্যাকুয়াম চেম্বারকে ফুটোমুক্ত রাখা। তবে এডওয়ার্ডের শিক্ষকরা এটি কাজ করবে কিনা এটি নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিলেন। এডওয়ার্ড সফল হয় শেষ পর্যন্ত, এ সময় ক্ষুদে বিজ্ঞানী এডওয়ার্ডের বিশ্বাসই হয়নি, তিনি করে ফেলেছেন। এডওয়ার্ডের সায়েন্স প্রজেক্ট এখন বিশ্বের সকল শিশুর কাছে অনুপ্রেরণা হিসাবে পৌঁছে গেছে। শিশুরাও যে বিজ্ঞানের পথে চলে আসছে, এটাই তাদের কাছে ভালো উদাহরণ বর্তমানে।

ভিডিও

জেনে নিন নিউক্লিয়ার রিয়েক্টর সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য:

সংক্ষেপে বলা যায় ২০১৬ ও ২০১৭ সাল নাগাদ পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এর সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারনা করা যাচ্ছে। পুরো দুনিয়ায় প্রায় ২০০টি রিয়েক্টর তৈরী হচ্ছে। বর্তমানের রিয়েক্টরগুলো অনেক আধুনিক, এগুলোতে ৩ দিক থেকে ঠান্ডা করার উপাদান দেয়া হয়, ফলে তা দ্রুত বন্ধ করা যায়। নতুন নিরাপত্তার এই রিয়েক্টরগুলো ফুকুশিমার মত সুনামি এবং ভূমিকম্পকেও হার মানাতে পারবে। একই সাথে নতুন ব্যবস্থায় আগের তুলনায় কম খরচেই বেশী বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিশেষজ্ঞরা। তারপরও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনী বিল গেটস যিনি ৪র্থ প্রজন্মের রিয়েক্টরে বিনিয়োগ করেছেন, জানান যে বর্তমানের কেন্দ্রগুলো আরো নিরাপদ ভাবে গড়ে উঠছে, তবে গবেষনা চলছে বলে সময়ও লাগবে এই বিষয়ে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে

তথ্যসূত্র : CNET NEUCLEAR FUSION

This post was last modified on মার্চ ৯, ২০১৪ 2:14 অপরাহ্ন

Aporna Mommoy

Recent Posts

দীর্ঘ ৭৪ বছর পর একসঙ্গে ভয়ঙ্কর ৪ ঘূর্ণিঝড়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ৭৪ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো নভেম্বর মাসে চারটি…

% দিন আগে

জ্বলন্ত বাজি নিয়ে কেরামতি দেখালো এক কুকুর!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি সাধারণত পশুপাখিরা আতশবাজি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করে।…

% দিন আগে

অসম্ভব সুন্দর এক প্রকৃতি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৮ কার্তিক ১৪৩১…

% দিন আগে

কয়েকটি পানীয় ওজন কমানোর জন্য সাপ্লিমেন্টের কাজ করবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একদিনে কিন্তু ওজন কমানো সম্ভব নয়। দিনের পর দিন জিমে…

% দিন আগে

গোল্ড কিনেন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নিয়ে এলো প্রতিমাসে সহজে গোল্ড সঞ্চয়ের পরিষেবা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গোল্ড সঞ্চয়কে সবার জন্য আরও সহজ, স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং ঝামেলাহীন করতে…

% দিন আগে

সিটিসেল আবারও ২৫ পয়সা কলরেটে ফিরছে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের প্রথম সিডিএমএ প্রযুক্তি ব্যবহারকারী মোবাইলফোন অপারেটর সিটিসেল আবারও সাশ্রয়ী…

% দিন আগে