তৈরি হলো সাগরের গভীরে যাওয়ার আধুনিক ধাতব এক্সোস্যুট

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ মহাকাশের অনুসন্ধানে আমাদের অনেক গৌরবময় অর্জন রয়েছে। কিন্তু এই পৃথিবীতে রয়ে গিয়েছে অনেক অজানা। অনুসন্ধানের জন্য যেখানে এখনো অভিযান চালানো হয়। তেমনি একটি হলো গভীর সমুদ্র। সেই অভিযানের পথকে সুগম করতে এক্সোস্যুট নামে একটি স্যুট তৈরি করা হয়েছে।


৫৩০ পাউন্ডের ধাতব স্যুট এই এক্সোস্যুট। যার মাধ্যমে গভীর সাগরের চাপ কাটিয়ে প্রায় ১০০০ ফুট গভীরতায় যাওয়া যাবে। এর ধাতব বডি এই গভীরতায় চাপের ফলে চুর্ণ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে অভিযাত্রীকে। এর অ্যালুমিনিয়াম খোলসটি দেখতে পীড়াদায়ক এবং শ্বাসরোধী মনে হচ্ছে। কিন্তু পানির নিচে অভিযাত্রী নিজেকে হালকা অনুভব করবে। এর মধ্যে রয়েছে রোবটিক বাহু যার মাধ্যমে অভিযাত্রী সামুদ্রিক প্রাণী আহরণ করতে পারবে, থ্রাস্টারের মাধ্যমে অভিযাত্রী বিভিন্ন দিকে যেতে পারবে।

বায়ুমণ্ডলীয় চাপের মধ্য দিয়ে ডাইভিং করার জন্য এক্সোস্যুট একটি কোয়ান্টাম লাফ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হিষ্ট্রি মিউজিয়ামের ডাইভ সেফটি অফিসার। পানির তীব্র চাপকে কাটিয়ে স্কুবা ডাইভাররা মাত্র ২০০ ফুট সাগরের গভীরে যেতে পারে। কিন্তু গবেষকদের সমুদ্রের গভীরতম অঞ্চল নিয়ে গবেষণা করতে হচ্ছে। এই গবেষণা চালানো হচ্ছে ডুবোজাহাজের তোলা ছবি দিয়ে, যা খুবই অপ্রতুল তথ্য বহন করে। ছবি দেখে প্রাণীদের আচরণ সম্পর্কে কোন ধারণা পাওয়া যায় না। প্রাণীবিজ্ঞানীদের প্রধান গবেষণা মূলত বায়োলুমিনিসেন্ট প্রাণীদের নিয়ে যারা নিজেদের শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে আলো জ্বালাতে পারে। এই সকল প্রাণী নিজেদেরকে সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখে ফলে এদের বসবাস সমুদ্রের ৬০০ ফুট গভীরে। এই নরম ত্বকের প্রাণীগুলোকে নিয়ে খুব একটা গবেষণা হয়নি। সামুদ্রিক গভীরতায় থাকা এই প্রাণীগুলোকে নিয়ে গবেষণার ফলে নতুন দিকের উন্মোচন হবে বলে আশা করেন গবেষকরা।

উদ্ভাবন নিয়ে আরো পড়ুনঃ বাইসাইকেলের প্যাডালের শক্তি বাড়াবে বৈদ্যুতীকরণ চাকা!

Related Post

গবেষকরা মনে করেন বায়োলুমিনিসেন্ট প্রাণীদের প্রোটিন থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন কোন ঔষধ উদ্ভাবন করা যেতে পারে। তারা বলেন, “এই আলোক উজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য শুধুমাত্র এই প্রাণীরাই বহন করছে। কিভাবে তারা এটি করে থাকে তার অনুসন্ধানই হবে আমাদের লক্ষ্য।” পোশাক টি ৫০ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করবে। বেশিরভাগ অভিযানই ৩ থেকে ৫ ঘণ্টার হয়ে থাকে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০০ ফুট গভীরতায় যেতে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। এক্সোস্যুটের সাথে যুক্ত রয়েছে হাইডেফিনেশন ক্যামেরা, লাইট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ।

এক্সোস্যুটের প্রথম বাস্তব পরীক্ষার মুখোমুখি হবে এই বছরের জুলাইতে। মার্চের ৫ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল মিউজিয়ামে পোশাকটির প্রদর্শনী হবে।

তথ্যসূত্রঃ বিজনেসইনসাইডার

This post was last modified on মার্চ ১০, ২০১৪ 9:31 পূর্বাহ্ন

K. A. B Tohin

Recent Posts

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শের পরই গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলায় নিহত ২০০

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় আবারও ভয়াবহ হামলা…

% দিন আগে

বাবাকে দেখেই আদর খেতে ছুটরো আহ্লাদি সিংহশাবক: কিন্তু খেলো এক চড়!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাবাকে দেখেই আদর খেতে ছুটরো আহ্লাদি সিংহশাবক। কিন্তু সিংহশাবকের মাথায়…

% দিন আগে

বনের মধ্যেদিয়ে চলে গেছে রেলপথ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৪ চৈত্র ১৪৩১…

% দিন আগে

বিশেষ একটি ফল ঋতুস্রাবজনিত শারীরিক অস্বস্তি নিয়ন্ত্রণে রাখবে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি ঋতুস্রাব চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তপাত, পেটে যন্ত্রণা, পেটফাঁপা,…

% দিন আগে

ইউটিউব এবার কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের দুঃসংবাদ দিলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানহীন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো ইউটিউব। এই ধরনের ভিডিওর…

% দিন আগে

পুরাতনী টোটকায় ফিরতে পারে চোখের জ্যোতি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একবার চশমা চোখে উঠলেই আর রক্ষে নেই- সেটি সারাজীবনের সঙ্গী।…

% দিন আগে