দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘জুরাসিক পার্ক’ ছবির কল্যাণে ডাইনোসর আজ আরো পরিচিত হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাদের সম্পর্কে আমাদের সব কিছু এখনো জানা শেষ হয়নি। সম্প্রতি পর্তুগালে টোরভোসরাস গুরনেয়ি নামের নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কার হয়েছে।
( ছবি কৃতজ্ঞতা : The Field Museum )
সম্প্রতি পর্তুগালে একেবারে নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে। নাম টোরভোসরাস গুরনেয়ি (Torvosaurus gurneyi) । টিরানোসরাস এক্স-এর মতো চরিত্রের এই ডাইনোসর প্রায় ১৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াতো। ইউরোপে এর আগে এতো বড় আকারের ডাইনোসরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। জুরাসিক যুগের অন্য প্রাণীর মধ্যেও এতো বড় ডাইনোসর পাওয়া কঠিন। শিকাগোর ফিল্ড মিউজিয়ামের ন্যাশনাল হিস্ট্রি থেকে জানানো হয়েছে এদের হাড় খুঁজে পাওয়া গিয়েছে পশ্চিম পর্তুগালে।
ভিডিও
http://youtu.be/aOGWqDKCYVU
টোরভোসরাস টিরানোসরাস এক্স-এরও ৮ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বসবাস করতো। ভয়ঙ্কর হিংস্র এই প্রাণীর সামনে বাকিরা অসহায় বোধ করতো বলে মনে করা হয়। মাংসাশী এই প্রাণী দু’পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতো। দাঁত ছিলো ব্লেডের মতো এবং লম্বায় প্রায় ১০ সেন্টিমিটার। ওজন ৪ থেকে ৫ টন। বছরখানেক গভীর পর্যবেক্ষণ এবং জীবাশ্মগুলোর পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার শেষে অবশেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই আবিষ্কার সম্পর্কে ঘোষণা দেয়া হয়। ফিল্ড মিউজিয়ামের জীবাশ্ম বিজ্ঞানী পিটার ম্যাকোভিকি এক সাক্ষাৎকারে জানান আমরা সত্যিই গর্বিত এবং আনন্দিত এই ধরণের ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কার করতে পেরে।
এর আগে উত্তর আমেরিকায় টোরভোসরাস টানেরি নামের যে ডাইনোসরের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে, তাদের সঙ্গে পর্তুগালের টোরভোসরাস গুরনেয়ির মিল রয়েছে, হয়তো তাদের আত্মীয়তাও ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দুই মহাদেশে এদের বিবর্তন আলাদাভাবে হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে নতুন এই ডাইনোসর প্রজাতির জীবাশ্মের আবিষ্কার বেশ সাড়া ফেলেছে। কিন্তু এর একটা অন্য মাত্রাও রয়েছে।
জুরাসিক যুগের ‘ফুড চেইন’ বা খাদ্য-খাদকের শৃঙ্খলা সম্পর্কেও এবার নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করতে হবে। মাংসাশী এই দৈত্য সমসাময়িক নিরামিষাশী সরোপড জাতীয় ডাইনোসরকে অনায়াসে খেয়ে ফেলতে পারতো বলে জানা যায়। এছাড়া দুই মহাদেশে ডাইনোসারদের বিবর্তনের তুলনামূলক বিশ্লেষণের কাজও কয়েক ধাপ এগিয়ে গেলো বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
তথ্যসূত্র: ABC NEWS