দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনে যদি কোনো বাবা-মা তাদের সদ্যজাত সন্তান পালনে অনাগ্রহী হয়ে থাকেন তবে তারা সারাদেশে থাকা ২৫টি প্রসবকেন্দ্রে নিজ নিজ সন্তানদের ফেলে রেখে যেতে পারেন। সম্প্রতি চীনের একটি প্রসবকেন্দ্রে অনাগ্রহী বাবা মা’রা একসাথে প্রায় ২৬২টি শিশু পরিত্যাগ করে যাওয়াতে সম্পূর্ণ প্রসবকেন্দ্রটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
চীনে সরকার ২০১১ সালেই সেদেশের জনগনের জন্য ঘোষণা দেয়, যেসকল পিতা মাতা তাদের সন্তানদের লালনপালন করতে চান না। কিংবা সন্তানের জন্য কোনো দাবি রাখেন না, তারা চাইলে সরকারি প্রসবকেন্দ্রে নিজ নিজ সন্তান রেখে যেতে পারবেন। সেই হিসেবে সারা দেশে ২৫ টি প্রসবকেন্দ্র খোলা হয়।
সম্প্রতি দক্ষিণ চীনের একটি প্রসবকেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হল চীন সরকার। কারণ চীনের গুয়ানজোউ শহরে প্রসব কেন্দ্রটিতে পর্যাপ্ত ধারণ ক্ষমতার বাইরে সন্তান রেখে চলে যায় সে অঞ্চলের জনগণ। সাধারণত ঐ কেন্দ্রে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ জন করে সন্তান রেখে যাওয়ার মত সুবিধা থাকলেও সেখানে সম্প্রতি প্রতিদিন ৫ কিংবা তারও বেশি সন্তান রেখে যাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। এতে সন্তান ধারণ করার চেয়ে বেশি সন্তান হয়ে যায়। যার ফলে সকলকে সমান সুবিধা দেয়া সম্ভব হচ্ছিলনা। ফলে আপাতত ঐ কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
চীনের সরকার ঘোষণা দেয় যারা সন্তান লালালন পালন করতে অনাগ্রহী কিংবা অপরাগ তারা তাদের সন্তানকে প্রসবকেন্দ্রের বাইরে থাকা ট্রতে রেখে যেতে পারে। এতে কোনো নাম বা এন্ট্রি দিতে হবেনা। সম্পূর্ণ গোপন থাকবে সন্তানের পিতা-মাতার নাম। এমনকি সন্তান বড় হলেও তাদের বলা হবেনা তাদের পিতা মাতা কে। এসব সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশের কাজে লাগানো হবে।
সারা দেশে এখন ২৫টি প্রসবকেন্দ্র থাকলেও সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে আরও ৭৫টি প্রসবকেন্দ্র খোলা হবে। গুয়ানজোউ শহরের প্রসবকেন্দ্রটি সাময়িক বন্ধ, তবে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, অস্থায়ী ভাবে এই প্রসব কেন্দ্রটি বন্ধ করা হয়েছে। কয়েক দিন পর ফের এটি খুলে দেয়া হবে। আগে থেকে থাকা সন্তানদের এখানে এখন সুন্দর ভাবে লালন পালন করা হচ্ছে।
সূত্রঃ সিএনএন