দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মান কচু একটি সাধারণ জিনিস হলেও এটিতে রয়েছে বহু গুণাগুণ। যা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আজ এই মান কচুর ৮টি গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
মান কচুর পাতা, ডাটা ও মুখি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডাটা দিয়ে ঘণ্ট করা হয়। মুখি সিদ্ধ ও পোড়ানো দিয়ে ভর্তা করা হয়। আবার মুখি মাংস দিয়েও রান্না করে খাওয়া যায়। সবাই এটি খেতে পছন্দ করে। এই কচুতে ওষুধী গুণ ও পুষ্টিগুণ আছে।
১. শরীরে ব্যথা, গিরার ব্যথায় হলে কচু কুচি কুচি করে কেটে কড়া রোদে ভালো করে শুকিয়ে গুড়া করে ছাগলের দুধ ও চিনি মিশিয়ে হালুয়ার মতো করে সপ্তাহ ধরে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
২. শরীরে দুর্বলতা বোধ করলে বা মহিলাদের সাদা স্রাব দেখা দিলে কড়া রোদে ভালো করে শুকিয়ে গুড়া করে ছাগলের দুধ ও চিনি মিশিয়ে হালুয়ার মতো করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩. পেটের সমস্যা দেখা দিলে কচুর মুখি শুকিয়ে গুড়া করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৪. আমাশা হলে কচুর পাতা লবণ দিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করে ভর্তা করে কয়েকদিন খেলে আমাশা ভালো হয়।
৫. কানে ব্যথা হলে রক্ত বের হলে সেই সময় পাতার রস ছোট চামুচে এক চামচ একটু সরিষার তেল আগুনে গরম করে দুই ফোটা করে কানে দিলে সেরে যায়।
৬. বিছা বা বিষাক্ত কোনো পোকা-মাকড় কামড়ালে এই ডাটার রস লবণ দিয়ে লাগালে ব্যথা কমে যায় এবং বিষ নষ্ট করে দেয়।
৭. যে কোনো বাতের ব্যথায় কচুর সাক ভাজি বা ঘণ্ট করে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৮. কোষ্ট-কাঠিন্য দেখা দিলে কচু গুড়া, দুধ, চিনি মিশিয়ে বার্লির মতো রান্না করে গরম গরম খেলে পায়খানা পরিষ্কার হয় এবং শরীরে শক্তি পাওয়া যায়।