শেষ পর্যন্ত এমআইটি’তে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলো বৃষ্টি ও সৌরভ

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বিশ্বের নামীদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে চায়। কিন্তু এগুলোয় সুযোগ পাওয়া এত সোজা নয়। পরীক্ষার অনেক ধাপ অতিক্রম করার পর সুযোগ পাওয়া যায়। বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থী বৃষ্টি শিকদার ও সৌরভ দাশ একাধারে বিশ্বের ১৪টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে।


হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ক্যালটেক), ডিউক ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের নামীদামি ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও তারা পড়তে পারবে এর যেকোন একটিতে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এমন যে কোনটি ছেড়ে দেওয়ার মত নয়। এরমধ্যে কয়েকটি আছে যেগুলোয় পড়া স্বপ্নের মত। কিন্তু নিজেদের পছন্দের বিষয় এবং পরিপ্রেক্ষিতে সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করে তারা উভয়ে এমআইটিতে পড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

ইংরেজি মাধ্যমে পড়ালেখা করা বৃষ্টি শিকদার ‘এ লেভেল’ পরীক্ষায় চারটি বিষয়ে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর আর ‘ও লেভেল’ পরীক্ষায় কম্পিউটার বিজ্ঞানে বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পায়। এছাড়া ২০১০সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে জাতীয় পর্যায়ে রানারআপ হয় সে। শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ নয়। ২০১২ সালে ২৪তম আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডে সে জিতেছে ব্রোঞ্জপদক। সবচেয়ে কৃতিত্বের ব্যাপার বৃষ্টি পেয়েছে ‘বিশ্বসেরা নারী প্রোগ্রামার’ পুরস্কার।

আঁকাআঁকি, উপস্থিত বক্তৃতা, আবৃত্তি ও খেলাধুলায় পারদর্শী হওয়ায় স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১১ সালে মার্কস অলরাউন্ডার প্রতিযোগতায় চ্যাম্পিয়ন হয় সে।

সৌরভ দাশও কম যায় না। সে অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসিতে সবগুলো বিষয়ে জিপিএ-৫ পায় সে। এসএসসিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে ৩১তম মেধাস্থান দখল করে।

Related Post

২০১১ সালে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন, ২০১২ ও ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জপদক সহ ২০১৩ সালে এশিয়া প্যাসিফিক ম্যাথম্যাটিক্যাল অলিম্পিয়াডে রৌপ্য পদক পায় সে। সৌরভ ২০১২ সালে বিজ্ঞান একাডেমির বিশেষ প্রশিক্ষক নির্বাচিত হয়। যা একটি বিরল ঘটনা। সে রামানুজন গণিত ক্লাবের প্রশিক্ষক ও ভিডিও লেকচারার হিসেবে কাজ করে।

বৃষ্টি হতে চায় কম্পিউটার বিজ্ঞানী। প্রোগ্রামিং এর দিকে তার ঝোঁক বেশি। আর সৌরভের ইচ্ছা গণিত নিয়েই থাকবে সে। উভয় ক্ষেত্রে এমআইটি খুব ভাল সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এখানে আছে গবেষণার ভাল ব্যবস্থা। তাই তারা তাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য এটিকেই বেছে নিয়েছে।

This post was last modified on এপ্রিল ২৩, ২০১৪ 4:49 অপরাহ্ন

A. B. M. Noorullah

Recent Posts

কোটি টাকার তক্ষক বনাম সাপের ভয়ংকর যুদ্ধে জিতলো কে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘নেচার ইজ় ব্রুটাল’ নামে এক্স হ্যান্ডল হতে পোস্ট করা ভিডিওটি…

% দিন আগে

শীতের বেলায় গ্রামের প্রকৃতি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ পৌষ ১৪৩১…

% দিন আগে

মোটা হলে ব্রণ হতে পারে! ফলে-শাকেই তার ক্ষয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…

% দিন আগে

স্যামসাং নিয়ে এলো দূর্দান্ত এআই সুবিধাযুক্ত নিও কিউএলইডি ৮কে টিভি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…

% দিন আগে

ভিটামিন বি১২-এর অভাবে রক্তাল্পতা ও দেখা দেয় স্নায়ুর রোগও!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…

% দিন আগে

আজিমপুর কবরস্থানে শায়িত হলেন প্রবীর মিত্র

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…

% দিন আগে