দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্যামসাং মোবাইলফোন ইউনিটের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা যায় তাদের বিক্রয়হার ৪ শতাংশে নেমে গিয়েছে। গত জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত মোট আয় ৩৩.৪ ট্রিলিয়ন বা ৩২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে নেমে গিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ান এই কোম্পানীটি বলছে তাদের মোবাইলফোন ইউনিটটি চালু রাখতে তারা গত তিনমাসে ১৮ শতাংশ ভুর্তকি দিয়েছে। যেন তার আয় ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্যতা বিরাজ করে। স্যামসাং সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বেশি লাভজনক মোবাইলফোন কোম্পানী। কোম্পানীটি জানায় তারা গত চারমাসে উপার্জন করতে পেরেছে ৭.৫৭ ট্রিলিয়ন, ডলারের হিসেবে তা প্রায় ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার আগের তিনমাসে আয় হয়েছে ৭.৩ ট্রিলিয়ন বা ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আয়ের হার বেড়েছে মাত্র ২.৭ শতাংশ। স্যামসাং মোবাইল কোম্পানীর স্মার্টফোনের বাজারে নিজেদের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করার পেছনে বেশি ভূমিকা ছিল গ্যালাক্সি স্মার্টফোন। গ্যালাক্সি স্মার্টফোন দ্বারা তারা বিগত বছরগুলোতে মোট রাজস্ব আয় বাড়াতে পেরেছিল। গ্যালাক্সি স্মার্টফোনের শক্ত বাজারের ফলে স্যামসাং এর পক্ষে ২০১২ সালে মোবাইলফোনের সবচেয়ে বড় কোম্পানী নোকিয়ার অবস্থানকে স্থানচ্যুত করতে পেরেছে।
সে যাই হোক, এই প্রতিযোগিতা স্যামসাং কোম্পানীকে স্মার্টফোনের বাজার ধরে রাখতে হলে আরো কমদামে, কম লভ্যাংশে স্মার্টফোন উৎপাদন করতে হবে। একই সময় স্মার্টফোনের চাহিদা দিনকে দিন বাড়ছে। যার ফলশ্রুতিতে স্মার্টফোনের বাজার আরো বেশি বিস্তৃত হবে বলে মনে করেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
বাজার বিশ্লেষক কোম্পানী ফ্রস্ট এ্যান্ড সুলিভানের একজন বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু মিলরয় বলেন, “বাজারের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, স্মার্টফোনের বর্তমান বাজার বেশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এখানে টিকে থাকতে হলে গ্রাহকের চাহিদার পাশাপাশি লাভের পরিমাণকে নিম্নতর করতে হবে। স্যামসাং স্মার্টফোনের পতনের হার থেকে এই তথ্য আমাদের কাছে বেশ পরিষ্কার।” তিনি আরো বলেন, ‘স্যামসাং আরো কমদামের স্মার্টফোন তৈরির দিকে ঝুঁকছে তাদের এই ব্যবসার স্থায়িত্ব ধরে রাখার জন্য’।
সর্বশেষ তথ্য এই যে, ‘স্যামসাং এই উঠতি বাজার ধরে রাখার জন্য কমদামের মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি শুরু করেছে। যা হয়তো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে আসবে’। সে যাই হোক তাদের এই প্রতিযোগিতার অন্যতম প্রতিযোগী হলো হুয়াই এবং জেডটিই।
তথ্যসুত্রঃ বিবিসি