দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্বরোচিত হামলার দশ দিন অতিবাহিত হলেও কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে এখনও আতংক বিরাজ করছে। হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলেও নেপথ্য পরিকল্পনাকারীরা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। যে কারণে ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধ পরিবারগুলো এখনও অজানা আতংকে ভুগছে।
জানা গেছে, আবারও নাশকতার আশংকায় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। কর্মস্থলেও যেতে পারছেন না অনেকেই। ছাত্র-ছাত্রীরাও স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কাজ করতে না পারায় চরম আর্থিক কষ্টে পড়েছে দিনমজুর পরিবার-গুলো। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সংবাদের পর থেকেই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে এক জনসভায় বলেছেন, অপরাধীরা কেও ছাড়া পাবে না। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্থদের সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গতকাল ও আজ দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে উপজেলার ১২টি বৌদ্ধ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় মন্দিরের পাশে বৌদ্ধপল্লিতেও হামলা চালানো হয়। পরদিন উখিয়া-টেকনাফেও সহিংস ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ১৬ মামলায় এ পর্যন্ত ২০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৪০ জন বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মী বলে জানা গেছে। তবে হামলায় নেতৃত্বদানকারীরা এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় মানুষের মাঝে আতংক রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, এখানে মুসলিম ও বৌদ্ধরা সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করলেও কিছু উগ্রপন্থী যেভাবে গভীর রাতে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে- তা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। কোন কোন কর্মকর্তা হামলাকারীদের সহযোগিতা করেছে। পরিকল্পিত এ হামলা সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও প্রশাসনকে আগাম তথ্য না জানিয়ে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। কোন কোন মহল হামলায় ইন্ধন দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, রামুতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃত ২০৩ জনই প্রকৃত আসামি এবং তারা হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। অনেককে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, হামলার সময় দায়িত্ব পালনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে কিনা তা তদন্ত কমিটির রিপোর্টেই প্রমাণিত হবে। বর্তমানে রামুতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
৬২ জন রিমান্ডে ॥ চালকের স্বীকারোক্তি
কক্সবাজার প্রতিনিধি আহমদ গিয়াস জানান, বৌদ্ধ মন্দির এবং পল্লিতে হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আটটি মামলায় ১০৫ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৬২ জনকে রিমান্ডে আনা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল ১১ জনকে রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে ঘটনার রাতে ব্যবহৃত একটি ট্রাকের চালক রমজান আলী। সে কক্সবাজার শহরতলীর হাজীপাড়ার বাসিন্দা।
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
View Comments