যে সব কারণে বাংলাদেশীদের পৃথিবীর সব চেয়ে সুখী মানুষ বলা যায়!

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ আমরা বাংলাদেশীরা গরিব হতে পারি, তবে বেশ কিছু কারণে বাংলাদেশের মানুষকে সুখী বলা যায়। আমরা এমন কিছু করতে পারি যা বিদেশী কিংবা উন্নত দেশের মানুষরা চাইলেই পারেনা। মোট কথা বাংলাদেশীরা অল্পতেই অনেক খুশি হতে পারে। চলুন জেনে নিই কেন বাংলাদেশীরা সবচেয়ে সুখী জাতি।

বাংলাদেশীরাই ছাদের ব্যবহার করে থাকে সব চেয়ে বেশি

পৃথিবীর সকল জাতির মাঝে বাংলাদেশীরাই ছাদের ব্যবহার করে থাকে সব চেয়ে বেশি। বাংলাদেশের মানুষরা ছাদে চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে বিকেলে এক বার ছাদে উঠে দখিণা হাওয়া না খেলে তাদের চলেই না। ছাদে বাংলাদেশের ছেলেরা ঘুড়ি উড়ায়, মেয়েরা চুল শুঁকায়। বয়স্করা বিকেলের বাতাস খায়। এক কথায় ছাদের এমন বহুমুখী ব্যবহার পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে আপনি পাবেন না।

গর্ভকরি আমাদের পাড়ার টং দোকান নিয়ে

আমরা বাঙ্গালীরা সুপার-মল নয়, গর্ভকরি আমাদের পাড়ার টং দোকান নিয়ে। এখানেই বাংলাদেশের মানুষ চা, সিগারেট, পান সহ টুকি টাকি সকল জিনিস কিনতে পারে। এমন দোকানের কারণেই বাঙ্গালীরা অনেক সুখী থাকতে পারে আড্ডা হৈ চৈ করে।

বাংলাদেশের সেলুন

বাংলাদেশের সেলুন গুলোর কথা আসলে অবশ্যই সুখের বিষয়ে বলতেই হয়। পৃথিবীর এমন এক দেশ বাংলাদেশ এখানে আপনি চুল কাঁটার পাশাপাশি ফ্রি শরীর ম্যাসেজ করিয়ে নিতে পারবেন। হাসি মুখেই নাপিত আপনাকে প্রশ্ন করবে ভাইয়া শরীর বানাইয়া দেব?

এখানে রয়েছে সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্যের বিশাল বাজার

বর্তমানে পৃথিবীর সকল দেশে যেখানে সব কিছু ওয়ান টাইম ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই সেখানে আপনি বাংলাদেশী হিসেবে এখানে হাজার হাজার দোকান পাবেন যেখানে আপনার পুরোনো জুতা থেকে শুরু করে মোবাইল, সব কিছুই সাশ্রয়ী দামেই ঠিক করিয়ে নিতে পারবেন। এখানে রয়েছে সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্যের বিশাল বাজার।

রিকশা সার্ভিস

সাপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা ট্রান্সপোর্ট হিসেবে কেবল বাংলাদেশেই আপনি পাবেন রিকশা সার্ভিস। ঝড় বৃষ্টি বাদল সব আবহাওয়াতেই আপনি রিকশা সার্ভিস পাবেন। রিকশা চড়ে বাঙ্গালীরা নিঃসন্দেহে সুখী জাতি বলাই চলে।

গোসলের স্বাধীনতা

গরমে বাংলাদেশের গোসল একটি সহজ এবং সাধারণ বিষয়। এখানকার মানুষ ২৪ ঘণ্টাই গোসল করে নিতে পারে, যেখানে যখন খুশি! এর থেকে খুশির বিষয় আর কি হতে পারে?

দই, ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি

বাংলাদেশের রাস্তার খাবার এর বর্ণনা ঐতিহাসিক। এখানে আপনি রাস্তার পাশেই পাবেন দই, ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি সহ হরেক রকম খাবার। ফলে কখনও একা কখনো দল বেঁধে এসব খাবার খেতে মজাই আলাদা।

উৎসবের দেশ

বাংলাদেশ উৎসবের দেশ, এখানে হিন্দু-মুসলিম সকল ধর্মের মানুষের জন্য আলাদা আলাদা উৎসব হলেও সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতি বজায় রেখে একে অন্যের উৎসবে কেনাকাটা, আনন্দ মজা ভাগাভগি করে নেয়। পৃথিবীর কোন দেশে এমন পাবেন?

বাস্তব জীবনের খেলা

বাংলাদেশের মানুষদের রয়েছে বাস্তব জীবনের খেলা, এখানে হাডুডু, কাবাডি, দাড়িয়াবান্ধা সহ অসংখ্য খেলা রয়েছে। এসব খেলা আপনি খেলতে পারবেন যেকোনো সময় যেকোনো দিন! বাঙ্গালীর খেলার জন্য XBOX বা PS3 এর দরকার হয়না। তারা মাঠে ময়দানেই খুশি।

আড্ডা দিতে ভালবাসে বাঙ্গালী

বাঙ্গালীদের আরেক খুশির জিনিস হচ্ছে, এরা আড্ডা দিতে ভালবাসে। যখন যেখানে হোক, দুই তিন জন হলেই দারুণ আড্ডা জমে যায়। আড্ডা যেখানে সুখ সেখানে!

ক্রিকেট বাঙ্গালীর প্রাণের খেলা

ক্রিকেট বাঙ্গালীর প্রাণের খেলা, বাংলাদেশের মানুষের রক্তে মিশে আছে ক্রিকেট। বাংলাদেশ দলের যেদিন খেলা থাকে বাংলাদেশের সব মানুষের চোখ সেদিন এক সাথেই টিভি পর্দায় থাকে। সারা জাতি এক হয়ে এই খেলা উপভোগ করে। সুখ তো এখানেই!

ফ্রি হোম ডেলিভারি

বাঙ্গালীরা সব কিছুই ফ্রি হোম ডেলিভারি পেয়ে থাকে। বাংলাদেশের সব এলাকায় ফেরিওয়ালা রয়েছে। এরা সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বাজার মূল্যে বাসায় এনে দিয়ে যায়! এমন সুযোগ আর কোথায় পাবেন?

সুখ শুধুই ভাতে

বাঙ্গালীর সুখ শুধুই ভাতে! বাংলাদেশের মানুষ ভাত ছাড়া কিছুই বুঝেনা! তিন বেলা ভাত না হলে বাঙ্গালীর পেট সয়না! রিচ ফুড, ফাস্ট ফুড সব কিছুই বাঙ্গালীর পান্থার কাছে মামুলী বিষয়।

যেখানে খুশি ঘুমিয়ে পড়ে

বাঙ্গালীর সুখ ঘুমে! হ্যা বাংলাদেশের মানুষ যখন যেখানে খুশি ঘুমিয়ে পড়ে! নিশ্চিন্তে ঘুম! কোন জাতি এমন ভাবে আরামের ঘুম দিতে পারে যেখানে ইচ্ছে সেখানে?

উৎসবের আমেজ

বাংলাদেশের মানুষ উৎসবের আমেজে সাঁজে প্রতি বৈশাখে, এখানে বৈশাখ মানেই সবার উৎসব। বাঙ্গালী নারী পুরুষ বৈশাখকে আমন্ত্রণ জানায় বর্ণীল সাঁজে এবং শোভাযাত্রায়।

পারিবারিক বন্ধন

পারিবারিক বন্ধন বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধন। হ্যা বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার এখনো একান্নবর্তী পরিবার! সুখী না হলে কি এক সাথে থাকা যায়?

জাতীয় পতাকা

উপরের সব কিছুর পরেও বাংলাদেশীরা সবাই এক সাথে একই জাতীয় পতাকার তলে বাংলাদেশী হিসেবে সব চেয়ে বেশি সুখী একটি জাতি।

ধন্যবাদ: বাজফিড | ফিচার ছবি সংগৃহীতঃ www.asd.org.bd থেকে